ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

যে কারণে ডুবলো সিলেট নগর

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে

(১ বছর আগে) ১৯ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:৪২ অপরাহ্ন

mzamin

সিলেট নগর। অনেকেই বলে থাকেন মেগাসিটি। আগের চেয়ে পরিপাটি এ নগর। শৃঙ্খলাও ফিরেছে। স্থায়ী জলাবদ্ধতাও কমে এসেছে। তবে কেনো ডুবছে সিলেট নগর- এ প্রশ্ন এখন সবার। উত্তরে মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য একই। সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। নগরী দিয়ে প্রবাহিত ৯টি ছাড়া ও খাল দখল হয়ে গেছে। একের পর এক দীঘি দখল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
এতে করে সহজেই ডুবে যাচ্ছে সিলেট নগর। এবারের বন্যার কবলে পড়া সিলেট নগরী নিয়ে এমন কথাই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বুধবার সিলেটে সফর করেন পররাস্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল রহমান। তারা দু’জন নগর ও আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখেন। ত্রাণও বিতরণ করেন। সিলেট নগরী ডুবে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন- সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। আমরা সুরমা ও কুশিয়ারা খননের উদ্যোগ নিচ্ছি। এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সুরমা খনন করা হলে সিলেট নগর অনেকাংশে বেঁচে যেতে পারে। এর বাইরে ছড়া ও খাল দখল করা হয়েছে। আগের মতো ছড়া ও খালের পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। ফলে পানি দ্রুত উঠে যাচ্ছে বাসা বাড়িতে। 

 

 

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল রহমান জানিয়েছেন- বন্যার্তদের পাশে সরকার রয়েছে। তবে- সিলেট নগরের এই পরিস্থিতি কী কারণে সেটি নিয়ে অবশ্য ভাবতে হবে। নগরের ভেতরে যে দীঘি ও পুকুর ছিলো সেগুলো ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে পানি গ্রহণের মতো কোনো জায়গা নেই। এসব ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের নজর দিতে হবে। 

সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ছড়া ও খাল উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছিলো। কিন্তু এতে তেমন কাজ হয়নি। ছড়া ও খাল উদ্ধার না করেই সেখানে ওয়াকওয়ে ও গার্ডওয়াল দেয়া হয়েছে। গাভিয়ার খালের দু’পাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন- এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করতো। এখন কোথাও কোথাও খালের অস্বিত্ব নেই। এতে করে সুরমা নদীর পানি তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দ্রুত আঘাত হানছে। 

 

 

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সিলেট শহরকে রক্ষা করতে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের উপর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি জানান- অনেক এলাকা নদী লেভেল থেকে নিচে চলে গেছে। এ কারনে শহররক্ষা বাঁধের প্রয়োজন। পাশাপাশি বন্যা কিংবা বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতা দূর করতে পাম্প দিয়ে সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার কথা জানান। তিনি বলেন- নগরে জলাবদ্ধতা নেই। সুরমা খনন করলে উজানের ঢলের পানি নদী ধারন করতে পারবে। এতে করে সহজেই নগর ডুবে যাবে না। 

নগরীর দক্ষিণ অংশের কুছাই ও আলমপুর এলাকায় শহর রক্ষা বাধ রয়েছে। এসব বাঁধ ঝুঁকিতে থাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে গেলে এলাকা তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মালেক উদ্দিন। তিনি জানান- শহর রক্ষা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এলাকার মানুষও সচেষ্ট রয়েছে। সুরমা দু’তীর বাঁধ দিয়ে সংরক্ষণ করলে হঠাৎ ঢলে নগর তলিয়ে যাবে না।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status