তানিয়ার আর্তি আমাদের বাঁচান

‘তোরা গ্রাম থেকে চলে যা। না গেলে তোর স্ত্রী ও মেয়ের মাথার চুল কেটে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবো।’ প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের এই হুমকিতে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না পরিবারের ৩ নারীসহ ৫ জন। গতকাল দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জের বাসিন্দা চাকরির কারণে গোলাম মোস্তফা দীর্র্ঘদিন যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করছিলো। কিন্তু তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যা তানিয়া কঞ্চিপাড়ার বাড়িতে ছিলেন। চাকরির টাকা আর জমির ধানে সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্তু চলতি বোরো মৌসুমের আগে তারই আপন ভাই প্রভাবশালী ও বিত্তবান গোলাম কিবরিয়াসহ তার অন্য স্বজনরা ২০১৩ সালে ঢাকায় অবস্থানরত জীবিত গোলাম মোস্তফাকে মৃত দেখিয়ে তার ৫৭ শতক জমি দলিল করে ৫ই মে তার অনুপস্থিতির সুযোগে গোলাম মোস্তফা ফসলি জমি দখল করে নেন। এ সময় তার মেয়ে তানিয়া আকতার বাধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করেন এবং একটি হাত ভেঙে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মা সাবিনা ইয়াসমীন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা শুনে গোলাম মোস্তফা বাড়িতে এসে সে বেঁচে আছে বলে জানায় এবং তার মেয়েকে মারপিটের প্রতিবাদ জানাতে যায়।

কিন্তু প্রভাবশালী গোলাম কিবরিয়া তাকে হুমকি  দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে তারা বলেন, এখন তো মেরে হাত ভেঙে দিয়েছি- এবার স্ত্রী ও কন্যা তানিয়ার মাথার চুল কেটে গ্রামছাড়া করবো। এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া রোকনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশি তৎপরতা না থাকায় ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা তার জমি উদ্ধার ও স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে কলেজ পড়ুয়া কন্যা তানিয়া আকতার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদেরকে রক্ষা করুন। মামলা করেছি কিন্তু পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা নিরাপত্তাহীন। সম্মেলনে স্ত্রী, কন্যা, শিশুপুত্র উপস্থিত থেকে ঘটনার বর্ণনা করেন। এ ব্যাপারে ফুলছড়ি থানার ওসি কাওসার আহম্মেদ বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। সময়মতো আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।