ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

মেটাল ডিটেক্টরের মতো স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করবে সেন্টিম্যাগ

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন

mzamin

ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে নতুন একটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সুপারিশ করা হয়েছে বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে (এনএইচএস)। যেসব নারীর স্তন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে তা শনাক্ত করতে এবং চিকিৎসায় সহায়তা করবে এই গ্যাজেট। মেটাল ডিটেক্টর যেভাবে কোনো কিছুকে শব্দ করে শনাক্ত করে, এই গ্যাজেটও একই রকম শব্দ করবে। এই গ্যাজেটটির নাম দ্য সেন্টিম্যাগ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এই যন্ত্র থেকে চুম্বকীয় তরল- যাকে ম্যাগট্রেস বলা হয়, তা ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যুতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। এরপর সেন্টিম্যাগ ত্বকের ওপর থেকে এই তরলের চলার পথ অনুসরণ করে এবং শব্দ করে। এর মধ্য দিয়ে সে জানান দেয় কোথায় ক্যান্সার কোষ জমা হয়েছে। এরপর একজন সার্জন ওই অঞ্চল থেকে নমুনা নিয়ে বা বায়োপসি করে সেখানে ক্যান্সারের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে পারেন। 
সেন্টিম্যাগ সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (নাইস)। যদি অনুমোদিত হয় তাহলে এই গ্যাজেটটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের বেশির ভাগ হাসপাতালে ব্যবহার করা হতে পারে। 
বর্তমানে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে হাসপাতালগুলো একটি রেডিওএকটিভ ডাই ইনজেকশন এবং পরে স্ক্যান ব্যবহার করে।

বিজ্ঞাপন
এটা ক্ষতিকর নয়। তবে বিশ্বব্যাপী এই পরীক্ষাটি পর্যাপ্ত নয়। মেডটেকের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং নাইসে ডিজিটাল বিষয়ক পরিচালক জ্যানেট কুসেল বলেন, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী জানতে চান তার ক্যান্সার শরীরে বিশেষ কোনো স্থানে কেন্দ্রীভূত নাকি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা যত তাড়াতাড়ি নির্ধারণ করা যাবে, তত তাড়াতাড়ি এর ভাল ফল পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, কিন্তু এই প্রযুক্তি সার্জনদের আরেকটি অপশন তুলে দেবে হাতে। তা হলো, তারা যে হাসপাতালে কাজ করছেন সেখানে রেডিওফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের সুবিধা নাও থাকতে পারে অথবা সীমিত সুবিধা থাকতে পারে। কিন্তু সেন্টিম্যাগ ব্যবহারের সুবিধার মধ্যে আরও একটি কার্যকারিতা হলো এতে অনেক রোগি শনাক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে রেডিওএকটিভ আইসোটোপের ওপর নির্ভরতা কমানো যাবে। 
সেন্টিম্যাগ দিয়ে পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে মেগাট্রেস তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় তা বাদামী রঙের আয়রন অক্সাইড সমৃদ্ধ। এই তরল চুম্বকীয়। এই তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করার পর এসব পার্টিকলকে লিম্ফেটিক সিস্টেম শুষে নেয়। এক্ষেত্রে তারা ক্যান্সার কোষের রুট অনুসরণ করে। এই ক্যান্সার কোষ টিউমার থেকে ছড়াতে পারে। লিম্ফ নোডে আটকা পড়তে পারে। আবার বগলের নিচে জমা হতে পারে। ম্যাগট্রেস লিম্ফ নোডকে গাঢ় বাদামি করে ফেলে। ফলে চিকিৎসকরা যখন বায়োপসি করেন তখন সহজেই তা শনাক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইঞ্জেকশন দেয়ার স্থানে ব্রেস্ট টিস্যুতে বাদামি একটি দাগ দেখতে পাবেন রোগীরা। কিন্তু তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিলে যেতে থাকে।  
 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status