ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

গভীর রাতে আটক, ডিবি কার্যালয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ

ফখরুল-আব্বাস কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
mzamin

কয়েক দিনের টানাপড়েন। নানা নাটকীয়তা। রক্তাক্ত সংঘর্ষ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অনিশ্চয়তায় ঘেরা বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে অবশেষে হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে। গতকাল দুপুরের পর এই মাঠে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয় পুলিশ। এর আগে বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রক্তাক্ত সংঘর্ষ। দলীয় কর্মীর মৃত্যু। কার্যালয় অবরুদ্ধ করাসহ নানা নাটকীয়তা শেষ হয় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমঝোতার আভাস মিললেও মধ্যরাতের পর সরকারের তরফে কঠোর বার্তা আসে এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে।

বিজ্ঞাপন
সকাল থেকেই ছিল উত্তাপ-উত্তেজনা। দুপুরের পর সমাবেশ ভেন্যু চূড়ান্ত হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা ওই মাঠমুখি হন। সমাবেশকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকামুখি সব সড়ক মহাসড়কে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। এসব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ঢাকা বড় সমাবেশ করার প্রস্তুতি রয়েছে বিএনপি’র। এর আগে হওয়া নয়টি বিভাগীয় সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি থাকলেও আজকের সমাবেশ হচ্ছে তার অনুপস্থিতিতেই। সমাবেশে দলের নেতাকর্মী ও ঢাকাবাসীকে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশে বিএনপি’র ১০ দফা ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপি’র সমাবেশ সামনে রেখে দিনভর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। আওয়ামী লীগ পাড়া মহল্লায় মিছিল সমাবেশ করেছে। মহানগর নাঠ্যমঞ্চে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। 
 

মির্জা ফখরুল- আব্বাস কারাগারে: ১০ই ডিসেম্বর নয়া পল্টনে গণসমাবেশ নিয়ে অনড় ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে সমাবেশ সফল করতে নিজ বাসা ও দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে একের পর এক বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। নয়া পল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সমাবেশ সফল করতে মরিয়া ছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার গুলশানে সংবাদ সম্মেলনেও যে কোন মূল্যে সমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তারা। এর কয়েক ঘন্টা পরেই হঠাৎ করেই গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় হাজির হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাত ৩ টার দিকে দুজনকেই ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। দুপুরের পর তাদের গ্রেপ্তারের বিষয় জানায় পুলিশ। সন্ধ্যায় নেয়া হয় আদালতে। তাদের জামিন আবেদন করা হলেও তা নাচক করেন বিচারক। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি (ফখরুল) গভীর রাতে বাসায় আসেন। শরীর ক্লান্ত থাকায় ওষুধ খেয়ে বিশ্রামে যান। রাত ৩টার দিকে ৪ জন লোক ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাসায় আসে। দরজা খুলে দিয়ে তাদের বসতে দেয়া হয়। তখন পুলিশ সদস্যদের মির্জা ফখরুল সাহেব জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কেন আসছেন। জবাবে পুলিশ সদস্যরা বলেন, রাতে নাকি মামলা হয়েছে। কোর্টের ওয়ারেন্ট আছে। তারা তাকে নিয়ে যাবেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে উনাকে (ফখরুল) নিয়ে তারা বের হয়ে যান। পরে জানতে পারি- ডিবি পুলিশের একটি দল ৪-৫টি গাড়ি নিয়ে সন্ধ্যা রাত থেকেই আমাদের বাসার আশপাশে অবস্থান নিয়েছিল। তারা আমার বাসার সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। দরজা খুলতে দেরি করায় চড় থাপ্পড় মেরেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন শেষে বাসায় ঢুকলে মির্জা আব্বাসকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়।

বাসা থেকে তুলে নেয়ার ৮ ঘণ্টা পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আটক করার কথা স্বীকার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস ডিবির কমপাউন্ডে আছে। তাদের কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তখন তিনি বলেন, দুইদিন আগে নয়া পল্টনে যে পরিস্থিতি হয়েছে সেখানে ৫০-৬০ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে এবং অনেক ভাঙচুর হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে পারব।  পরবর্তীতে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে গোয়েন্দা কার্যালয়ের হারুন অর রশিদ বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। ৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায় দায়ের করা ১০ নং মামলায় (৪৭০ আসামি) তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের ওপর বর্বোরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, জনমালের ক্ষতির পরিকল্পনা, উসকানি, ইন্ধনদাতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেয়া হলে, আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠায়। 

সমাবেশের স্থান নিয়ে নানা নাটকীয়তা: সরকারের পদত্যাগ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে প্রায় তিনমাস আগে ১০টি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তখনই জানিয়ে দেয়া হয় দিনক্ষণ। ১২ই অক্টোবর চট্টগ্রামে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ শেষ হওয়ার কথা। আজ ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ। তবে এই সমাবেশ নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা। পূর্বের গণসমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হলেও ঢাকার সমাবেশ নিয়ে নানা আশঙ্কা করে সরকার। এতে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে চলে দেন দরবার। ঢাকায় ১০ই ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ই নভেম্বর ও ২০শে নভেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিল বিএনপি। তবে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। পরে নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়। সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এর পর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সর্বশেষ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

সংবাদ সম্মেলন: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তারের পর বৈঠকে বসেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনীর্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির নেতারা। সেখানে সমাবেশ সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। সমাবেশের স্থান নিয়ে গতকাল দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। পরে রাজধানীর সায়েদাবাদ সংলগ্ন গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশর অনুমতি পায় বিএনপি। বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গোলাপবাগ মাঠে শনিবার গণসমাবেশ করবে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসসহ গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৭ই ডিসেম্বর নয়াপল্টনে নজিরবিহীন হামলা করা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের হামলা করা হয়েছে। অফিসে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নগদ অর্থ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি লুট করা হয়েছে। পুলিশ নিজেদের ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গেছে। এগুলো দেখানোর চেষ্টা করেছে অফিসে পাওয়া গেছে। এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নিন্দা জানাই। আটক পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, এতো গরিমসি করে মাঠ দেয়া হয়েছে, আমরা যাতে গণসমাবেশ সফল করতে না পারি। জনগণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য এতো কিছু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,  ছাত্রলীগ লাঠি হাতে নয়াপল্টনে মিছিল করেছে। অথচ পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের পার্টির মহাসচিবকে প্রবেশ করতে দেয়নি। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে নয়টি সমাবেশ সফল হয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করার হীন চক্রান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই। ঢাকাবাসীসহ নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করব। অনেক দল যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপিকে সমর্থন করবে। সমাবেশ থেকে ১০ দফা ঘোষণা করব। 
যার যার অবস্থানে যুগপৎ হবে, তারাও যোগ দেবেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস না থাকতে পারলেও জনগণের সমাবেশ জনগণই করবে। বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। যদি করে আওয়ামী লীগ করবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।

অবরুদ্ধ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়: বুধবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংর্ষষের পর অবরুদ্ধ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল সড়ক মোড়ের সড়ক। গত ৩ দিনের বেশি সময় ধরে বন্ধ নয়া পল্টন এলাকার অলিগলির প্রবেশ পথ। সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় যানচলাচল। মানুষজনের চলাচলেও আরোপ করা হয় বিধি নিষেধ। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার বসবাসকারী, সাধারন মানুষ, পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। নয়া পল্টনে সংর্ঘষের ২৪ ঘন্টা পর সড়ক সচল করা হলেও শুক্রবার সকাল থেকে ফের সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, জনসাধারণ শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সড়কে মানুষজনকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা। পরিচয়পত্র দেখে পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে কাউকে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন। 
মির্জা ফখরুলকে ছাড়া গণসমাবেশ: চলমান দাবি নিয়ে বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের মধ্যে ৯টিতে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অসুস্থতার মধ্যেও প্রতিটি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে একদিন আগে অংশ সমাবেশ আসা সাধারন মানুষের কথা শুনেছেন। সর্বশেষ ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে থাকছেন না তিনি। গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোয় তাকে ছাড়াই হচ্ছে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ।

 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status