শেষের পাতা
সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ
স্টাফ রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবারমধ্যরাতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, সরকার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার টিকে আছে। এই সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ৭ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। চলমান ধরপাকড় অব্যাহত থাকলে আমরা তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত। আজ সুটকেসে কাপড়, ওষুধ নিয়ে প্রস্তুত হয়ে এসেছি। জেলে যেতে ভয় করি না। আব্দুর রব বলেন, আমাদের বাধা দিলে আমরাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো এবং সে লড়াইয়ে জনগণই জিতবে।
বিএনপি’র শীর্ষ দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। মান্না বলেন, রাত ৩টায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করতে চায় সরকার। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, ঘটনার প্রতিবাদ করুন। আন্দোলন থামবে না। বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অবিলম্বে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপের কথা বলা হলেও, সরকার দেশব্যাপী আগুন জ্বালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সব জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীনরা।
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবে জনগণ। রাজপথ শেষ বিকল্প। সরকার সে পথেই হাঁটছে। জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ভয়াবহ পথে হাঁটছে সরকার। সত্যিকার অর্থে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। ক্র্যাকডাউনের মতো পরিস্থিতি করেছে সরকার। গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সংলাপে না গিয়ে পরিস্থিতি সংঘাতে দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুল পথে হাঁটছেন। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩৩ হাজার সদস্য ঢাকায় এনেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি চায়ের ডাক দিয়ে গুলি করছেন, জেলে পুরছেন।