বিশ্বজমিন
জার্মানি
সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ২৫ জন গ্রেফতার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৩ অপরাহ্ন
জার্মানিতে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দলের মধ্যে রয়েছে কট্টর ডানপন্থী এবং সাবেক সামরিক সদস্যরা। তারা পরিকল্পিত উপায়ে পার্লামেন্ট ভবন রাইখস্ট্যাগে অভিযান চালিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা প্রিন্স ত্রয়োদশ হেইনরিখ (৭১) নামের এক অভিযাত ব্যক্তি। পুলিশের ধরপাকড়ে তিনিও গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশের মোট ১১ রাজ্যে এই অভিযান চালানো হয়। জার্মানির পুলিশ অনেকদিন ধরেই তাদের উপরে নজরদারি চালাচ্ছিল। ‘রাইখসবার্গার (সিটিজেনস অব দ্য রাইখ) মুভমেন্টের’ অনেক সদস্য এই ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই গ্রুপটি আধুনিক জার্মান রাষ্ট্রকে মানে না। তাই তারা সহিংস হামলা চালানোর চেষ্টা করছে।
প্রায় ৫০ জন পুরুষ এবং নারী এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
জার্মানির বিচারমন্ত্রী মার্কো বাস্কম্যান টুইট করে বলেছেন, একটি বড় ধরণের সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চলছে। তারা জার্মানির ‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সশস্ত্র হামলার’ ষড়যন্ত্র করছিল। এই গ্রুপটি ২০২১ সালের নভেম্বর হতে একটি সহিংস অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছিল। এই গ্রুপের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্যরা নিয়মিত বৈঠকেও বসেছিল। এই গ্রুপটি ক্ষমতা দখলের পর কিভাবে জার্মানি শাসন করবে, তার একটি পরিকল্পনাও তৈরি করেছিল। সরকারের স্বাস্থ্য, বিচার এবং পররাষ্ট্র দফতার কিভাবে পরিচালিত হবে, সেসবও এই পরিকল্পনায় ছিল। সদস্যদের এরকম একটা ধারণা দেয়া হয়েছিল, তাদের লক্ষ্য একমাত্র অর্জিত হতে পারে সামরিক পন্থায় এবং রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে।
তদন্তকারীরা এই চরমপন্থী গ্রুপ সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন গত এপ্রিল মাসে একটি অপহরণের পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর। ইউনাইটেড পেট্রিয়ট নামের একটি দল এই অপহরণের পরিকল্পনা করছিল। এই গ্রুপটিও রাইখসবার্গার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরা জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লটারবাখকে অপহরণের পরিকল্পনা করছিল। একই সঙ্গে তারা জার্মানিতে এমন একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছিল যাতে জার্মানির গণতন্ত্র শেষ হয়ে যায়। জার্মানিতে এই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে কট্টর দক্ষিণপন্থী দল এএফডির একজন সাবেক এমপিও জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জার্মানির পার্লামেন্ট বান্ডেসট্যাগের নিম্নকক্ষের সদস্য ছিলেন। তাকে অভ্যুত্থানের পর বিচারমন্ত্রী করার কথা ছিল। আর পুরো অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল প্রিন্স হেনরিখের।