ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

সামনে নির্বাচন

ভারতীয় রাজনীতির তুরুপের তাস হতে পারেন পি কে হালদার

মিজানুর রহমান
১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাফিয়া পি কে হালদারকে আইনি হেফাজতে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, আটক ৫ সহযোগীসহ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ আদালতে তোলা হতে পারে। দুনিয়া তোলপাড় করা ওই ঘটনার বিষয়ে ভারত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছুই জানায়নি। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আত্মসাৎ করে পলাতক পি কে হালদার। তিনি পশ্চিমা দুনিয়ায় রয়েছেন ধরেই খোঁজাখুঁজি চলছিল। তাকে ধরতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও জারি করেছিল ঢাকা। এ অবস্থায় আচমকা পশ্চিমবঙ্গে আটক হন তিনি। বহুল আলোচিত ওই আটকের ঘটনাকে ‘সেনসেটিভ কেস’ হিসেবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন
দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে আলাপে বলেন, দিল্লি যেহেতু এখানো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাছাড়া হালদার ধরা পড়ার পর থেকে মিডিয়ায় নানারকম খবর আসছে, সবমিলে কেসটি জটিল হয়ে যাচ্ছে! বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে আধার কার্ড পেলেন, নাগরিকত্বের জাল ডকুমেন্ট তৈরি করলেন এমনকি পাসপোর্ট জোগাড় করে তা নিয়ে দিব্যি কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করলেন? সেসব তথ্য বিশ্লেষণের পর হয়তো দিল্লি কিছু বলবে। তবে তাদের অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজেরাও যোগাযোগ করতে পারি। অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্নে বিজেপি নেতারা নতুন করে সুর চড়া করতে পারেন। ইস্যুটি দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াতে পারে। পি কে হালদার কাণ্ড সেই সব অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে সামনে আসতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে ওই কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দারা পশ্চিমবঙ্গে অভিযান করে তাকে ধরেছে। রাজ্য সরকার তার অবস্থান আগে থেকে জানতো কিনা? সেটাও নিশ্চিত করে এখনো কেউ বলেননি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে যাওয়ার ৭ দিনের মাথায় বড় ওই জালিয়াত কাণ্ড ধরা পড়লো! ওই কর্মকর্তার ভাষ্য মতে, ভারতে তার বিচার শুরু হলে প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হতে পারে সেই আভাস এরইমধ্যে মিলেছে। তাছাড়া সামনে  ভারতে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে।

 দেশটির নির্বাচনী রাজনীতিতে পি কে হালদার কেস তুরুপের তাস হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, কলকাতার উপ-হাইকমিশন ঢাকায় পি কে হালদারের গ্রেপ্তার নিয়ে গতকাল একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেগুনবাগিচা সেই রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও তাতে মিডিয়ায় আসা তথ্যের বাইরে তেমন কিছু নেই বলে দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে মানি লন্ডারিং ঠেকাতে উভয়ের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে ম্যাকানিজম রয়েছে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এটা দুই দেশের সোনালী সম্পর্কের ফসল। কিন্তু পি কে হালদার ভারতে রয়েছেন এমন নিশ্চিত কোনো তথ্য শেয়ার করে তাকে ধরিয়ে দিতে ভারত সরকারের কাছে কূটনৈতিকভাবে কোনো অনুরোধ করেনি বাংলাদেশ। তাকে ভারতে পাওয়া গেছে, ধরা হতে পারে এমন আগাম কোনো তথ্যও কূটনৈতিক চ্যানেলে শেয়ার করেনি নয়াদিল্লি। ভারতীয় কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিম সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেছে এমন দাবি একদিন আগেই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তাকে উদ্ধৃত করে এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, কেসটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বাংলাদেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পি কে হালদারকে ভারত সরকার গ্রেপ্তার করেছে বিষয়টি এমন নয়। বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ভারতের মাটি ব্যবহার করে আর্থিক এবং অন্য কোনো অপকর্ম কেউ করছে কিনা? রুটিন সেই অনুসন্ধানের সূত্রেই আটকের এই ঘটনা ঘটেছে। 

রিপোর্টে প্রকাশ পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের শিকড় কতটা গভীর তার খোঁজে বিস্তৃত অনুসন্ধান শুরু করেছে ইডি। তাকে নিয়েও সেই সম্পদের খোঁজে অভিযান চালাতে পারে সংস্থাটি। পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) কাছে ভারতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি তিন দেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ গ্রানাডা। ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত পি কে হালদারের পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত ১১টি বাড়ি, জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ইডি। তার আরও অনেক সম্পদ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন পি কে হালদার। এটি জানাজানির পর ২০১৯ সালের শেষদিকে তিনি দেশ ছেড়ে পালান। আর ভারতে সম্পদ কেনাও শুরু করেন ২০১৯ সালে। পশ্চিমবঙ্গের ইডি’র কর্মকর্তারা মনে করছেন, হালদারের অর্থের একটা বড় অংশ এখনো দুবাইয়ে রয়েছে। হাওয়ালা (হুন্ডি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুবাই এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই জায়গাতেই অর্থ পাঠানো হয়েছে। ইডি গত শনিবার পি কে হালদারসহ যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে, গত রোববার তাদের নাম প্রকাশ করে। গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছেন- প্রাণেশ কুমার হালদার, যিনি উত্তর চব্বিশ পরগণায় পি কে হালদারের জমিজমা, বাড়ি ও মাছের ভেড়ির ব্যবসা আংশিকভাবে দেখাশোনা করতেন। প্রাণেশ পি কে হালদারের আত্মীয়। আরেকজন আছেন স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, যিনি হাওয়ালার মাধ্যমে পি কে হালদারের টাকা ভারতে আনার ব্যাপারে সহায়তা করেছিলেন। এ ছাড়া রয়েছেন উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার। তাদের মধ্যে পুরুষ পাঁচজনকে ২০০২-এর মানি লন্ডারিং আইন সম্পর্কিত বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৭ই মে পর্যন্ত হেফাজতে নেয় ইডি। আমানা সুলতানাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে (জেলে) রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 গ্রেপ্তার ছয়জনই বাংলাদেশের নাগরিক এবং বিভিন্ন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তারা ভারতে একাধিক কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা করছিলেন। তারা বিভিন্ন স্থানে জমি, বাড়ি ও মাছের ভেড়ি (বড় পুকুর বা দিঘি) কিনেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই এই মামলার তদন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) হাতে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। এই মামলার ব্যাপকতা, ‘ক্রস বর্ডার ইমপ্লিকেশন’ (সীমান্তের দুই পারে অপরাধ) এবং বিপুল অর্থ পাচারের কারণে বৃহত্তর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন। তদন্তকারীদের কাছে এখনো এটা স্পষ্ট নয় যে, সুকুমার নিজেই এই নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন নাকি অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করে পি কে হালদারই তাকে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক তৈরি করিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধার লোকজনের যে যোগাযোগ ছিল, সেটাও এখন মোটামুটি স্পষ্ট বলে সেখানকার তদন্তকারীরা মনে করছেন। সুকুমার মৃধা বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে আছেন। ভারতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, পি কে হালদারের বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা চলছিল বলে মনে করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে অপরাধমূলক তথ্যের আদান-প্রদানবিষয়ক যে প্রটোকল রয়েছে, তা ব্যবহার করে এটা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ইডি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু বলেনি।

পি কে হালদারকে দেশে আনতে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দুদক
প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ভারত থেকে দেশে ফেরত আনতে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে তাকে কবে নাগাদ ফেরত পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি বলে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানিয়েছেন।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ইন্টারপোল অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমাদের জন্য খুব ভালো খবর হচ্ছে, ইন্টারপোল অথরিটি খুব দ্রুত রি-অ্যাক্ট করেছে। তারা দ্রুতই আমাদের আসামি ফেরত দেয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে।
কতদিনের মধ্যে আনা যাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) বলেন, ‘এটা আসলে সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। কী পরিমাণ মামলা সেখানে (ভারতে) হয়েছে, সে মামলাগুলোর বিচারে কতদিন লাগবে বা বিচারের আগে ফেরত আনা যাবে কী যাবে না, সুনির্দিষ্ট করে বলাটা আসলে সঠিক হবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী রেড অ্যালার্ট জারি করানো হয়েছিল, সেটি ভারতেও পৌঁছেছে। সেটি কার্যকর করার জন্য এখন ইন্টারপোলের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা কী জবাব দিয়েছে জানতে চাইলে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো আমরা রিপ্লাই পাইনি।’

ভারতেও পি কে হালদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে, সেখানে বিচার শেষ না হওয়ার আগে তারা আসামিকে ফেরত দিতে চাইবে কি? এ প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘এটা একটি প্রশ্ন, নিশ্চয়ই ভারতে যেহেতু তারা বেশকিছু মামলা করেছে, আরও করবে। দু-একটা মামলায় তারা রিমান্ডেও নিয়েছে। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে, চাপ থাকবে, যত দ্রুত তাকে আমরা আমাদের দেশে নিয়ে আসতে পারি। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের পাচার করা অর্থ ফেরতের বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনার পদ্ধতিটা খুব জটিল এবং এর খুব সাফল্য নেই-এটা সত্য। আমরা আশাবাদী যে আমরা যদি তার (পি কে হালদার) কাছ থেকে তথ্য পাই, সেগুলো ফেরত আনতে সক্ষম হবো।’

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা অফিশিয়ালি যোগাযোগ করেনি। তবে পি কে হালদার যে বাংলাদেশের সম্পদ ওই দেশে নিয়ে গেছেন এবং নাম পরিবর্তন করেছেন, এ বিষয়গুলো তাদের (ইডি) অফিশিয়াল প্রেস রিলিজে আছে।’

ব্রিফিংয়ে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ‘পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, ভারতে প্রশান্ত কুমার হালদার গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেখানে বেশকিছু মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা (কমিশন) বসেছি। আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড কী, এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সাঈদ মাহবুব খান জানান, দুদক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখবে। এ ছাড়া তার সম্পদের বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুরোধ জানাবে। পাশাপাশি ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও অনুরোধ জানানো হবে, যাতে তারা সেখানকার আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দুদককে দেয়।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদকের সরাসরি যোগাযোগ না হলেও ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তাদের ভারতীয় উইংয়ে (এনসিবি) যোগাযোগ করেছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান। তিনি বলেন, ‘এই আসামিকে দ্রুত যাতে বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে ইন্টারপোল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে। আমরা আশা করছি, হয়তো যত দ্রুত সেটা করা সম্ভব হবে।’

পি কে হালদারের একাধিক বান্ধবী এবং তাদের হাজার কোটি টাকা পাচারের সত্যতা কতটুকু? এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘আমার যতটুকু স্মরণ আছে পি কে হালাদার- সম্পৃক্ত ৩৩ জনের সম্পদের তদন্ত চলছে। পি কে হালদার সম্পৃক্ত বেশকিছু পুরুষ আছেন, নারীও আছেন। যাদের নামে পি কে হালদারের সম্পত্তি, তারা ভোগ করেন বা তাদের নামে রাখা হয়েছে। তাদেরও সম্পদের তদন্ত হচ্ছে। এর সত্যতা মামলার পরবর্তী সময়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status