বাংলারজমিন
সীতাকুণ্ডে রহিম হত্যার আসামি কাঞ্চন গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
(১ বছর আগে) ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
গত ২৯শে নভেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফেদাইনগর রাস্তায় মোটরসাইকেল কর্তৃক একটি অটোরিকশকে ধাক্কা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঘটনার মীমাংসা করতে গিয়ে একই এলাকার রহিম উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে কাঞ্চন দাস সহ ৯/১০ জনের একটি সন্ত্রাসীরা গ্রুপ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই করিম উদ্দিন গত রোববার সীতাকুণ্ড থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ রহিম হত্যার মামলার আসামি কাঞ্চন দাসকে গ্রেপ্তারের পর কোর্টে প্রেরণ করে।
সীতাকুণ্ড থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেল আরোহী আরিফ (২২) ও অটোরিকশা চালক ইমন (২৪) এর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে মীমাংসার করার জন্য একই এলাকার রহিম উদ্দিন চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সময় উপস্থিত আরিফ রহিম উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে রহিম উদ্দিনের সাথে আরিফ তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
পরে আসামি আরিফ বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও ভাইকে বললে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রহিম উদ্দিনকে হত্যার জন্য আসামি কাঞ্চনসহ অজ্ঞাত আরো ৫ /৬ জনকে একত্রিত করে গত ৩০ শে নভেম্বর রাতে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেদারখিল ফেদাইনগর কাশেম আলী রোডসহ রাসেল মেম্বারের মুরগির ফার্মের সামনে রাস্তার উপর রহিমকে একা পেয়ে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রহিম উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
গ্রেফতারকৃত কাঞ্চন দাস দক্ষিণ ফেদাইনগর ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত নারায়ণ দাসের পুত্র। ওসি আরো বলেন, আসামি কাঞ্চন দাসকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘটনার সহিত নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে কাঞ্চন। পরবর্তীতে যথাযথ বিধি মোতাবেক আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি কাঞ্চন দাশ ঘটনার সাথে নিজে জড়িতসহ অন্যান্য আসামি জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে এবং আদালতে তার জবানবন্দি দিয়েছে।