প্রথম পাতা
পেনাল্টি শুট আউট জাপানিদের কাঁদালো
আল জানুব স্টেডিয়াম থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী
৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবারনিষ্ঠুর পেনাল্টি শুট আউট খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করলো। কাঁদলো জাপান। হাসলো ক্রোয়েশিয়া। জাপানিরা পেনাল্টিতে যে একদম অনভিজ্ঞ তা আবারও প্রমাণিত হলো। তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। এর আগে একাধিকবার কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে যেন তারা গুটিয়ে যায়। চলতি বিশ্বকাপে জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
ওদিকে ক্রোয়েশিয়া ২০১৮ সনে ডেনমার্ক এবং রাশিয়াকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়েছিল। জাপান ২০১০ সনে প্যারাগুয়ের কাছেও হেরে যায়। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ দুর্দান্ত খেলেছেন।
এটা বলতেই হয়, খেলা দেখে মনে হয়েছে জাপানিরা ক্লান্ত, শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায়। অভিজ্ঞতার কাছেই তারা আত্মসমর্পণ করেছে। এবার জাপানের সামনে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছিল। সে সুযোগটা হাতছাড়া হলো স্নায়ুচাপে বিধ্বস্ত প্লেয়ারদের কারণে। খেলার পরে মাঠের পরিস্থিতি কী সেটাও একটু বলে রাখি। মাঠে শুয়ে আছেন জাপানিরা। গ্যালারী ভর্তি জাপানিদের কান্না দেখে কে! রীতিমত আহাজারি। আর আহাজারির সাক্ষী হলো কাতারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আল ওয়াকরাহ। আল জানুব স্টেডিয়ামটি বারবারই কেঁপেছে ফুটবল আনন্দে। স্থপতি জাহা হাদিদের চমৎকার স্থাপত্যশৈলীতে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। আগে ২০ হাজার ধারণক্ষমতা ছিল। এখন এটা বাড়িয়ে ৪৪ হাজার করা হয়েছে। আগেই বলা হয়েছে, অল্পদিনের মধ্যেই স্টেডিয়ামটির আসন কমানো হবে। এই স্টেডিয়ামে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্বকাপের ৭টি খেলা হয়েছে এখানে। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম শুট আউটে ইতিহাসও গড়লো স্টেডিয়ামটি।