বাংলারজমিন
দশমিনায় গৃহবধূকে মাথার চুল কেটে নির্যাতন
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবারপটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে কামড়ে, পিটিয়ে ও মাথার চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী। নির্যাতনের অভিযোগে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে দশমিনা থানা পুলিশ। গত রোববার রাতে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত গৃহবধূ শ্রীমতি দিপালী রানী (২৫) বলেন, তার স্বামী সুমন চন্দ্র দাস বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তার ওপর নির্যাতন চালাতেন। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে পারিবারিক কলহের জেরে দিপালীর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে ও কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনের অনুরোধে দিপালী রানী রোববার স্বামীর ঘরে ফিরে যান। ওইদিন রাতে ব্যথার ওষুধের কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করে আবারো পেটায়। পরে দিপালীর মাথার চুল কেটে আরেকদফা নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ গতকাল দিপালীকে উদ্ধার করে ও স্বামী সুমন চন্দ্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান- ভুক্তভোগী দিপালী রানী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আফজাল হোসেন বলেন, গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের ঘটনা সত্য।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টির খোঁজ-খবর নিয়ে নির্যাতিত গৃহবধূকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।
দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় গৃহবধূ দিপালী রানীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গৃহবধূর স্বামী সুমন চন্দ্র দাস স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, দিপালীর মুখ খারাপ। সংসারে সবসময় ঝগড়া ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। তাই তাকে শাসন করেছি।