ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

দশমিনায় সরকারি খাল খননের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জমিরমৃধা খাল খননের লাখ লাখ টাকার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খাল খননের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। 
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে জমিরমৃধা বাজার থেকে মহিষভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার জমিরমৃধা খালে খননের কাজ চলছে। ওই খাল খননের লাখ লাখ টাকার মাটি স্থানীয় সরকারদলীয় একটি প্রভাবশালী মহল পার্শ্ববর্তী ইটভাটায় বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে খাল খননের মাটি খালের দুই পাড়ে না দিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হারুন মৃধা, মশিউর রহমান ও খাল খনন কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ম্যানেজার মো. রিয়াজ হোসেন। ওই মাটি ১০টি ট্রাকে করে পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট তৈরির জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম বলেন, খালের দুই পাড়ে মাটি না ফেলে ইটভাটায় বিক্রি করে দেয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হবে খালের দুই পাড়ে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন মৃধা মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালের মাটি কেটে আমার জমিতে ফেলে রাখায় সেগুলো সরিয়ে দেয়ার জন্য বলেছি তাই মাটিগুলো ইটভাটায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। খাল খননের ঠিকাদার মশিউর রহমান মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাল খননের অতিরিক্ত জমে থাকা মাটি ইটভাটার কাছে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। খাল খননের কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই খাল খননের মাটি ইটভাটায় সরিয়ে রাখছি।

বিজ্ঞাপন
ইটভাটার ইজারাদার জামাল হোসেন বলেন, আমি মাটি ক্রয় করেছি এখন তারা মাটি কোথা থেকে এনে সরবরাহ করছেন সেটা আমি জানি না। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী পনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখবো, তিনি সংবাদ না লেখার জন্য অনুরোধ করেন। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, খাল খননের মাটি ইটভাটায় বিক্রির জন্য অনুমতি প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। 
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

সিন্ডিকেট চক্রের ঈদ বাণিজ্য/ ট্রেনের ১০৫৩ টাকার এসি চেয়ার ২৫০০

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status