অনলাইন
আচরণগত ৫ পরিবর্তনে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব: আহছানিয়া মিশন
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১৬ মে ২০২২, সোমবার, ৭:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:০৮ অপরাহ্ন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর ৮ম বৃহত্তম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। এসব মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে সংঘঠিত হয়। বাংলাদেশেই বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এসব সড়ক দুর্ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে সড়কে ৫টি মূল আচরণগত ঝুঁকির পরিবর্তন দুর্ঘটনা হ্রাসের সহায়ক হতে পারে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে নিরাপদ সড়ক জোরদার করণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান সড়ক দুর্ঘটনা রোধের ওই ৫ আচরণগত পরিবর্তনগুলোসহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, সংস্থাটির রোড সেইফটি প্রকল্পের এডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন, এডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডব্লিউএইচওসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যদি গাড়ির গতি গড়ে ৫ শতাংশ কমানো হয় তাহলে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব। মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালানো নিষেধ আইনটি শতভাগ প্রয়োগ করা যায় তাহলে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০ হ্রাস করা যাবে। মানসম্পন্ন হেলমেট ব্যবহারে দুর্ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে এবং মাথার আঘাতের ঝুঁকি ৭০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে। একইভাবে সিটবেল্ট পরা চালক এবং সামনের আসনে যাত্রীর মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৫-৫০ শতাংশ এবং পিছনের আসনের যাত্রীদের মধ্যে মৃত্যু এবং গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি ২৫ শতাংশ হ্রাস করে।
দুর্ঘটনা থেকে শিশুদের রক্ষা করতে যানবাহনে নিরাপদ ও সুরক্ষিত আসনের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে শারমিন রহমান বলেন, অভিবাবকদের একটি মানসিকতা রয়েছে যানবাহনে চড়ার সময় শিশুদের কোলে আগলে রাখার।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রতি বছর দেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা তৈরিসহ নীতি-নির্ধারণী পর্যয়ে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।