ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিড থামাতে পারেনি সোনালিকে

অনলাইন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২২, বুধবার, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৩ অপরাহ্ন

mzamin

সাতক্ষীরায় এসিডদগ্ধ সোনালী খাতুন (১৯) এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৯৬  পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি ২০২২ সালে পাটকেলঘাটার কুমিরা পাইলট বহুমুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নকাটি গ্রামের নুর ইসলামের কন্যা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৯শে নভেম্বর মাত্র ১৮ দিন বয়সে বাবা মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় এসিড আক্রান্ত হন সোনালি। এরপর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দিতে হয় তাকে। সেখান থেকে সোনালীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে এক বছর উন্নত চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছে। বর্তমানে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

সোনালির বাবা নুর ইসলাম জানান, ‘অত্যন্ত মেধাবী সোনালী অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নিজের পরিশ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে। বাবা হিসাবে তিনি অনেক গর্বিত। ভবিষ্যতে মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান’।

নূর ইসলাম আরও জানান, ‘প্রতিবেশীদের সাথে বাঁশঝাড় কেটে ফেলা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তারা মামলা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর এসিড ছুড়ে মারে।

বিজ্ঞাপন
এতে সোনালী ও তার মা খোদেজা বেগম মারাত্মক দগ্ধ হন। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজ তাদের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইছে। তবে সোনালীর শরীরের ক্ষত স্থান এখনও চুলকায় ও চোখ দিয়ে পানি ঝরে’।

এসিড সন্ত্রাসের শিকার সোনালী খাতুন জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় সে অনেক খুশি। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা আছে তার’। এসিড আক্রান্ত হওয়ায় সহপাঠীরা তাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তিরা তাকে সাহস যুগিয়েছে। চেষ্টা করেছে তাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার। তারা সেই কাজে সফলও হয়েছেন।

কুমিরা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক গৌতম কুমার দাশ জানান, ‘সোনালীর এই সাফল্যে তিনি এবং তাঁর শিক্ষকমন্ডলী গর্বিত। সোনালী সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে আজ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছে। সোনালীর অদম্য মানসিকতা, সাহস ও সকলের সহযোগিতা তাকে এতো দূর আসতে সাহায্য করেছে। সোনালীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে তাকে সহযোগিতা করাটা জরুরি।
 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status