বিশ্বজমিন
বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘যৌন আবেদনময়ী’ ইভানা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২২ অপরাহ্ন
এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে আবেদনময়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া- ইভানা নোল। রক্ষণশীল কাতারের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি প্রকাশ্যে এসেছেন খোলামেলা পোশাক পরে। স্টেডিয়ামে সেই পোশাকে হাজির হয়ে গরম করে দিয়েছেন চারপাশ। তাকে নিয়ে পশ্চিমা বিভিন্ন মিডিয়ায় এরই মধ্যে রিপোর্ট হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এমনকি হতে পারে জেলও। কিন্তু শাস্তির ভয়ে ভীত নন তিনি। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলে আবেদনময়ী, বিশেষ করে যৌন আবেদনময়ী, নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যুবতীদের রমরমা অবস্থা থাকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ চলছে রক্ষণশীল কাতারে। সেখানে নগ্নতা, মদ, অসামাজিকতা নিষিদ্ধ।
কিন্তু কোনো বিধিনিষেধের ধার ধারেননি ইভানা নোল। তিনি খোলামেলা পোশাকে উপস্থিত হয়ে ফুটবল ভক্তদের, বিশেষ করে পশ্চিমা ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন। তারাই তাকে এবার বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘সেক্সিস্ট ফ্যান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে সমালোচনা যে হয়নি তা নয়। অনেকেই বলেছেন, তিনি কাতারে পোশাকের শালীনতার প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন। আলোচনা-সমালোচনা বা শাস্তির হুমকি থাকলেও তিনি পোশাকের রীতি পরিবর্তন করেননি।
ইভানা নোল মিডিয়াকে বলেছেন, প্রথমে আমি ভেবেছি বিশ্বকাপটা যদি কাতারেই হয়, তাহলে কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই সব ভক্তকে তাদের ইচ্ছেমতো সবকিছু করতে দেয়া উচিত। এটাই স্বস্তির কথা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারপরই জেনেছি ওইসব নিয়মকানুনের কথা। এটা জেনে আমি হতাশ। যে ড্রেসকোড দেয়া হয়েছে তার অধীনে নারীদের কাঁধ ঢাকা থাকতে হবে। বুকের ভাঁজ দেখানো যাবে না। হাঁটু ঢাকা থাকতে হবে। পেট ঢাকা থাকতে হবে। সবকিছু ঢাকা থাকতে হবে। তারপরই দেখলাম আমি তো এসব রীতি অনুসরণ করে এমন কোনো পোশাকও আনি নি।
ইভানা নোল বলেন, আমি মুসলিম নই। তবে ইউরোপে আমরা যদি হিজাব এবং নিকাবের প্রতি সম্মান দেখাই তাহলে কেন আমাদের পোশাকের প্রতি সম্মান দেখানো হবে না। এটা নিয়ে আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমার মনে হয়, তাদের উচিত আমাদের জীবনধারা, আমাদের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। আমরা পরি যেসব পোশাক তার মধ্যে আছে বিকিনি। কারণ, আমি একজন ক্রোয়েশিয়ান ক্যাথলিক। আমার দেশ বিশ্বকাপে খেলছে।
কিন্তু আমি যখন কাতারে পৌঁছালাম, বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম এখানে পোশাক নিয়ে তারা কোনো সমস্যা করছে না। আপনার যা পছন্দ তেমন পোশাকই পরতে অনুমতি দিচ্ছে। এতে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু সরকারি অফিসগুলো। সব মিলিয়ে এটাকে একটি ভাল বিবেচনা বলতে হয়।
ইভানা নোল-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাকে রগরগে পোশাক পরার কারণে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এতে তিনি ভয়ে আছেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো কিছু নিয়ে আমি কখনোই ভীত নই। উল্লেখ্য, রোববার কানাডার বিরুদ্ধে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলে ক্রোয়েশিয়া। সেই ম্যাচে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ইভানার দেশ ক্রোয়েশিয়া কানাডাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। খোলামেলা পোশাকে এদিন মাঠে বসেই খেলা উপভোগ করছিলেন তিনি। তার পরনে ছিল জাতীয় পতাকার রঙ লাল এবং সাদা চেক পোশাক। তবে তা অনেক বেশি খোলামেলা।
কাতারে ক্রোয়েশিয়ার থিম ব্যবহার করে একটি সৈকত সাজানো হয়েছে। সেখানে এর আগে তিনি প্রায় একই রকম রগরগে পোশাক পরে উপস্থিত হন। আসলে তিনি সেখানে ফটোশুট করেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও তিনি একই রকমভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন। ফলে তখন থেকেই পরিচিতি পেয়েছেন।