প্রথম পাতা
চালের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০২২, সোমবারভরা মৌসুমেও চলছে চালের বাজারে অস্থিরতা। আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। আর মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা এবং মোটা চালের কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, টিসিবি’র তথ্যের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে মিল মালিকরা বলছেন এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। নতুন ওঠা চালের দাম অনেক কমেছে। সামনে আরও কমবে। চালের খুচরা বিক্রেতা সিকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা।
দুই-একদিন পরপরই পাইকারি ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। চালের দাম আরও বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। পাইকারিতে বেশি দামে চাল কেনার কারণে খুচরাতেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কাওরান বাজারের নোয়াখালী রাইস ট্রেডার্সের পাইকারি চাল বিক্রেতা শাওন মানবজমিনকে বলেন, গত ১০ দিন থেকে চালের দাম কিছুটা বাড়তি। আগে চিকন চালের বস্তা ছিল ৩ হাজার ৪৫০ টাকা, এখন সেই চালের দাম বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে মাঝারি চালের বস্তা ২ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৯০০ টাকা হয়েছে। আর মোটা চালের বস্তা ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩৫০ টাকা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। নতুন চাল বাজারে আসলেও চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে এখনো সেভাবে নতুন চাল আসেনি। সরকারও এবার বেশি দামে চাল কিনছে। এ ছাড়া ভারত থেকেও চাল আমদানি করা বন্ধ রয়েছে।
এজন্য চালের দাম বাড়তে পারে। নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোধ বরণ সাহা মানবজমিনকে বলেন, পত্রিকায় দেখছি চালের দাম নাকি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে চালের দাম অনেক কমেছে। আগে যে চাল ২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো, এখন সেই চাল ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা কমেছে। অন্যান্য চালের দামও কমেছে, আরও কমবে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন মানবজমিনকে বলেন, বাজারে তদারকি না থাকার কারণে ভরা মৌসুমেও বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তর মাঝে মাঝে বাজার তদারকি করে থাকে। তবে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করে না। যদি পাইকারি ও খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত তদারকি করা হতো তাহলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।