ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

সম্পত্তি কি ফেরত আনা যাবে?

রাশিম মোল্লা
১৬ মে ২০২২, সোমবার
mzamin

বহুল আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত শনিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাটে দুটি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় সুকুমার মৃধার বেআইনি সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে। মৃধার একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অর্থ পেয়েছে ইডি। জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে দেশটির নাগরিকত্ব নেন। সেখানে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গে তার ২০ থেকে ২২টি বাড়ি এবং দিল্লি ও মুম্বইয়ে আরও বহু সম্পদ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতার আশপাশের বেশকিছু অঞ্চলসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদার সম্পত্তি কিনেছেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা। এরই মধ্যে পি কে হালদার ও তার ৪ সহযোগীকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ভারতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট।  গ্রেপ্তারকৃত নারী সদস্যকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে পি কে হালদারের এসব সম্পত্তি কি দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে? আইন কি বলে? এক্ষেত্রে কি করণীয়? এসব বিষয়ে কথা হয় আইনজীবীদের সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, ভারতে আটক পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কেননা ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে আনারও চুক্তি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারকে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, ২০১৩ সালে বন্দি বিনিময় চুক্তির পর উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ। এর একদিন পর বাংলাদেশ ফেরত পায় নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনকে। দুদক সূত্র জানায়, পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৩৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। তিনটি মামলার চার্জশিট অনুমোদনের জন্য কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন নিয়ে দ্রুত এসব চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হবে।

দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান মানবজমিনকে বলেন, ভারতের সঙ্গে যেহেতু আমাদের চুক্তি রয়েছে, সেহেতু সেদেশ থেকে মানিলন্ডারিংয়ের অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমি যখন দুদকের দায়িত্বে ছিলাম তথন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আমি মনে করি পি কে হালদারের মানিলন্ডারিংকৃত অর্থও ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে একটু সময় সাপেক্ষ।

এদিকে, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে আইনি পথেই দেশে ফেরানোর আশা করছে সরকার। তবে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে দেশে ফেরাতে অন্তত তিন মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিন মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনার কথা বলছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারাও। তবে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ভারতে একটি অভিযোগ রয়েছে, তিনি অবৈধভাবে ভারতের পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছেন। ভারতের আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে ভারতে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব নেয়ার অভিযোগে ভারতে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলে সেটি সময় সাপেক্ষও হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। 

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সরকার পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের জানিয়েছিল অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছেন। সে তথ্যের ভিত্তিতে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তির আলোকে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, সে জনগণের টাকা পাচার করেছে। ভারতে বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবস্থান করে আসছিলেন। সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। কিন্তু আমাদের যে অর্থপাচারের বিষয়টা, আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলায় তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমাদের দেশের যে টাকা ভারতে পাচার করা হয়েছে। আমরা তা ফেরত আনার চেষ্টা করবো। কারণ এটা জনগণের টাকা।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তবে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হতে পারে। ভারতে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তারা কী ব্যবস্থা নেয়, তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে। তিনি বলেন, দুদকের তিনটা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হবে, বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুসারে পি কে হালদারকে দ্রুত বাংলাদেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কারণ, দুদকের মামলায় এখন পর্যন্ত যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের দেয়া তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখতে হবে। এ ছাড়া এত বড় একটা আর্থিক কেলেঙ্কারি, সে কীভাবে করলো, তা জানা দরকার। তার পক্ষে একা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে নেয়া সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই তার সঙ্গে আরও অনেক রাঘববোয়াল ছিল। তারা কারা, সব বের করতে হবে। 

সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির মানবজমিনকে বলেন, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে বহিঃসমর্পণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ বন্দি বিনিময় করার সুযোগ রয়েছে। অর্থ ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে বলেন, অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সেজন্য তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো আইন অনুযায়ী শেষ করতে হবে। এরপর রায়ের কপি সে দেশে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পাঠিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। 

দুদকের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজনের মানিলন্ডারিংয়ের টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একই মত দেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি মানবজমিনকে বলেন, পি কে হালদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় যদি প্রমাণ করা যায় ভারতে থাকা স্থাবর সম্পত্তি তিনি মানিলন্ডারিং এর অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছেন, তাহলে সেসব সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জন করবে। 

৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় পলাতক পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের’ এই মামলায় গত বছরের জানুয়ারিতে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ ক্যাসিনো মালিকদের সম্পদের তদন্ত শুরুর পরে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে দুদক মামলা দায়ের করে। পি কে হালদার ২০০৮ সালে আইআইডিএফসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল।

পি কে হালদারের জন্ম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার দিঘিরজান গ্রামে। বাবা প্রয়াত প্রণনেন্দু হালদার ও মা লীলাবতী হালদার। তার মা ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পি কে হালদার ও তার ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার দু’জনই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে দু’জনই ব্যবসায় প্রশাসনের আইবিএ থেকে এমবিএ করেন। পাশাপাশি চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) সম্পন্ন করেন পি কে হালদার।  

শিক্ষাজীবন শেষে পি কে হালদার যোগ দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপ-ব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি অদৃশ্য আশীর্বাদে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। পি কে হালদারের কারণে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক নানা অনিয়মে জড়ায়। পি কে হালদার দুই ভাই মিলে ভারতে হাল ট্রিপ টেকনোলজি নামে কোম্পানি খোলেন ২০১৮ সালে, যার অন্যতম পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার। কলকাতার মহাজাতি সদনে তাদের কার্যালয়। আর কানাডায় পিঅ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে, যার পরিচালক পি কে হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডার টরন্টোর ডিনক্রেস্ট সড়কের ১৬ নম্বর বাসাটি তাদের।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে কমপক্ষে চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) মালিকানায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে। সেই চার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এখন খুবই খারাপ। একটি বিলুপ্তের পথে, বাকি তিনটিও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেন পি কে হালদার। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকাও সরিয়েছেন। 

ভারত জানালেই পি কে হালদারকে দেশে আনার ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো তথ্য (ডকুমেন্ট) আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমরা জেনেছি পি কে হালদার গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখনো তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু আসেনি। আমাদের যে কাজ আমরা আইনগত ব্যবস্থা  নেবো। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে পি কে হালদারকে অনেকদিন ধরেই চাচ্ছি। শুনেছি সে গ্রেপ্তার হয়েছে ভারতে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। মূল কারণটি হলো বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্ব। তিনি আমাদের আলোকিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদেশে গেলেই বলতো তোমরা সেই জাতি যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছো। তখন লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যেতো। সেই জায়গা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন। 
 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status