ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি রোধে আইন আছে, প্রয়োগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

দেশের ফার্মেসিগুলোতে নিত্যপণ্যের মতো অ্যান্টিবায়োটিক মিলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যকোনো দেশে স্বীকৃত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় না। অথচ আমাদের দেশে ফার্মেসিতে, যত্রতত্রই মিলছে। এটি রোধে আমাদের আইন আছে, কিন্তু ব্যবস্থা (প্রয়োগ) নেই। গতকাল রাজধানীর হোটেল মেরিডিয়ানে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ মানুষ কোর্স পূর্ণ করে না। আবার যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটি সবচেয়ে বেশি। সেখানে গ্রামীণ চিকিৎসকরা যাদের স্বীকৃতি নেই তারা দিচ্ছেন। ওষুধ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, কিন্তু তাতেও হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন
এটিতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে সেটি সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। জাহিদ মালেক বলেন, কখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত, সেটি মানুষকে জানাতে হবে। এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে (অ্যান্টিবায়োটিক) বিক্রি না হয়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। (ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি করলে) প্রয়োজনে ফার্মেসি বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু ব্যবহার করা উচিত, তার বাইরে যাতে না হয় সেটি দেখতে হবে। বর্জ্যের কারণে মাছ, মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জটিল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এতে করে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অনেক বেশি। এটি রোধে শক্ত আইনের বিকল্প নেই। এরইমধ্যে কোয়ালিটি ঠিক না রাখায় ২৭টি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সংসদে সেটি পাস হবে। তিনি বলেন, দেশের ওষুধ বেচাকেনায় জড়িতদের ৬৬ ভাগই অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না। এ জন্য লাল চিহ্নযুক্ত আলাদা প্যাকেজিং করা হচ্ছে। যাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সহজেই শনাক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপত্র ও ফুল ডোজ ছাড়া বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুধু আইন করে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status