ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

খেরসন ও নিকোলায়েভ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন

মানবজমিন ডেস্ক

(১ বছর আগে) ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, ১:৩৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

কয়েক দিন আগেই খেরসনের প্রধান শহর ছেড়ে চলে গেছে রুশ সেনারা। এর একদিন পর এই শহর দখলে নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। দক্ষিণাঞ্চলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর ফেরত পেয়ে রাজধানী কিয়েভ ও লাভভের মতো শহরগুলোতে আনন্দ উৎসব হয়। তবে এখন আবার ইউক্রেনীয়দেরকেই বলা হচ্ছে খেরসন ছেড়ে চলে আসতে। দেশটির কর্তৃপক্ষ খেরসন থেকে বাসিন্দাদের দেশের অন্যত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। শুধু খেরসন নয়, প্রতিবেশি নিকোলায়েভ থেকেও বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন। 

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, মূলত রাশিয়ার অব্যাহত আক্রমণে এই দুই এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইউক্রেনের তাপমাত্রা কমে এখন শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় ঘর গরম রাখার কোনো উপায় নেই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তাই তাদেরকে ইউক্রেনের পশ্চিম দিকের শহরগুলোতে সরিয়ে নিচ্ছে সরকার। দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই অঞ্চলের মানুষদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে সরকার বলেছে, তারা যেনো দ্রুত এই অঞ্চল ত্যাগ করে। 

সোমবার ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশ্চুক বলেন, এই দুই এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বাসের ব্যবস্থা করবে সরকার।

বিজ্ঞাপন
নারী, শিশু এবং বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। দনিপার নদীর পশ্চিম পাশে থাকা খেরসনের একাংশ দখলের এক সপ্তাহের মাথায়ই এই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনারা খেরসন শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে চলে গেছেন শহরের বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ। তবে ইউক্রেনপন্থীরা এখানে থেকে গেছেন। কিন্তু নদীর ওপার থেকে রাশিয়া এখন নিয়মিত খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই খেরসন এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে।

ইউক্রেনের শীত বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় ভয়াবহ। এরইমধ্যে কিয়েভে বরফ পড়তে শুরু করেছে। এর আগে রাশিয়া ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করে দিতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের দাবি, এরইমধ্যে দেশের অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। রাশিয়া হুমকি দিচ্ছে, ইউক্রেন যদি আলোচনার টেবিলে না বসে তাহলে বাকি অর্ধেকও ধ্বংস করে দেয়া হবে। এরইমধ্যে এক কোটি ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ আছে সেখানেও দিনের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং থাকছে। 

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই শীতে আরও ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় ইউরোপে আশ্রয় নিতে পারে। সংস্থাটির ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুগ বলেন, উষ্ণতা ও নিরাপত্তার আশায় আরও ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাতে পারে। এই ঠাণ্ডায় তারা কোভিড-১৯সহ অন্যান্য ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। যারা ইউক্রেনে থেকে যাবেন তাদেরকেও অবশ্যই বিকল্প উপায়ে উষ্ণতা সৃষ্টি করতে হবে। বন থেকে আনা কাঠ কিংবা ডিজেট জেনারেটর ব্যবহার করতে হবে।
 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

‌‌‘‌আমাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা নয়’‌/ আমেরিকাকে সতর্ক করলো উপসাগরীয় দেশগুলো

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status