অনলাইন
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট: চীনের মহা বিশ্বাসঘাতকতার গল্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ১৫ মে ২০২২, রবিবার, ৬:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের পদত্যাগকে চীনা নেতৃত্বের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ মাহিন্দকে তাদের খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হতো। রাজাপাকসে দেশটিতে বড় আকারের চীনা বিনিয়োগের পথ তৈরি করেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হাম্বানটোটা বন্দর (যেটি তার নিজ শহরে অবস্থিত) চীনকে ঋণের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেওয়া। গত কয়েক বছরে, চীনারা শ্রীলঙ্কায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের ঋণও দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এশিয়ানেট নিউজের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়ঃ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেইজিং শ্রীলঙ্কাকে বেল আউট (অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার) করতে এগিয়ে আসবে না বরং কলম্বো অন্য কোথাও থেকে কিছু পেলে চীন তা থেকে নিজের বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করবে।
বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, চীনা পক্ষ দ্বীপরাষ্ট্রটির ঘটনাপ্রবাহ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বেইজিং দেশটিতে কর্মরত তার নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে।
সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক ড. ধনঞ্জয় ত্রিপাঠী বলেন, "যেহেতু শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই খেলাপি হয়ে গেছে, তাই চীন দ্বীপরাষ্ট্রটিতে তার অর্থনৈতিক স্বার্থকে রক্ষা করছে। ওই খেলাপিতে চীনেরও শেয়ার রয়েছে। দেশটিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও করেছে চীন। হাম্বানটোটার মতো বন্দর লিজ নিয়েছে এবং শ্রীলঙ্কা যদি টাকা না পায় সেক্ষেত্রে চীনও তার অর্থ হারাবে।"
এক্ষেত্রে, বেইজিং স্মার্ট আচরণ করছে। তারা চায় শ্রীলঙ্কা যে কোনো জায়গা থেকে তহবিল পাক, যাতে তারা তাদের অংশ বুঝে নিতে পারে।
চীন থেকে সাহায্য চাইলে রাজাপাকসে পরিবারকে জনগণের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, "কিছু শর্তের বিনিময়ে বেইজিংয়ের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া জনগণ ভালোভাবে নাও নিতে পারে। আজ শ্রীলঙ্কায় যা কিছু ঘটছে, জনগণ তার জন্য এই পরিবারটিকেই দায়ী করছে। এই পরিবারটি অতীতে চীনের দিকে এতোটাই ঝুঁকে গিয়েছিল যে তারা এখন রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাগ্রস্ত। কিন্তু চীন তার স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই স্মার্ট। নৈতিক অর্থে, আমরা যেটাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলতে পারি।"