ঢাকা, ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

খোলা চোখে

আয়ু খেকো নগর এবং অসহায় নাগরিকের কান্না

লুৎফর রহমান
১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
mzamin

কথা বলছিলাম একজন মোটরবাইক চালকের সঙ্গে। তিনি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এক সময়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি কলেজ থেকে রসায়নে সম্মান শেষ করে চাকরি নিয়েছিলেন। করোনার সময় চাকরি হারিয়ে সড়কে নামেন মোটরবাইক নিয়ে। এই মোটরবাইকই এখন তার সংসারের অবলম্বন। শনিবার মিরপুর থেকে ফার্মগেট আসার পথে কথা হয় তার সঙ্গে। পরিবেশ সচেতন এই যুবক বলছিলেন, বাইক চালিয়ে সংসার চলছে ঠিকই কিন্তু প্রতিদিন নিজের আয়ু কমে যাচ্ছে ধুলা আর দূষণে। ব্যবহারের ফেস মাস্কটি দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, সারাদিনে সাদা মাস্কটি কালো হয়ে যায় ধুলায়। মাস্কতো আর সব আটকায় না। সরাসরি ফুসফুসে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
মাঝে মাঝে অসুস্থ বোধ হয়। আক্ষেপ করে বলছিলেন, এই নগরের মানুষের দেখার কেউ নেই। না হলে দুই দিনে শেষ করা যায় এমন রাস্তার কাজ দুই বছর ধরে চলতে থাকে কীভাবে। রাস্তা খোঁড়া হয়, পরে তা আর ভরাট করা হয় না। দেখার কেউ থাকলে এমন তো হওয়ার কথা না। আসলে এই নগরে বাস করে প্রতিদিন আমাদের আয়ু কমছে। কমছে শক্তি। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এটা ভালো করে বুঝতে পারি। তিনি বলেন, কোনো উপায় থাকলে এই শহরে থাকতাম না। অন্য কোথাও চলে যেতাম। বাইক চালক এই যুবক ঢাকা শহরেরই ভোটার। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকেন। তার মতো একজন অসহায় নাগরিকের এই নগর ছাড়ার আকুতি হয়তো অনেকের মনে উঁকি দেয় বার বার। যারা ঢাকায় থাকেন। গণপরিবহনে চলাচল করেন। জীবিকার তাগিদে রাস্তায়, পথে বের হতে হয় প্রতিনিয়ত তাদের এমন উপলব্ধি হওয়াটাই স্বাভাবিক। 

এই মোটরবাইক চালক তার আয়ু কমার যে ধারণা পাচ্ছেন তা যে মিথ্যা নয় প্রমাণ হয়েছে একটি গবেষণায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, দূষণের কারণে গড়ে সাত বছর করে আয়ু হারাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। ইপিআইসি প্রবর্তিত এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স নির্ণয়ে গবেষকেরা বাতাসে পিএম ২.৫ (ক্ষতিকর ভাসমান কণা যা ফুসফুসের ক্ষতি করে) এর মাত্রা হিসাব করতে স্যাটেলাইট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন। তার ভিত্তিতে দেয়া প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের শিকার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বায়ু দূষণের এই সূচকের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার পাঁচ দেশের চারটিই দক্ষিণ এশিয়ায়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ু দূষণের কারণে বৈশ্বিক গড় আয়ু মাথাপিছু দুই বছর এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড় আয়ু পাঁচ বছর করে কমছে। ইপিআইসি’র গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া বায়ু দূষণের সীমা (দূষণকারী কণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম) প্রয়োগ করে হিসাব করা হয়, তাহলে দেশে মাথাপিছু গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস করে কমছে। আর কিছু এলাকায় দূষণের মাত্রা এতই বেশি যে, সেখানে গড় আয়ু কমার পরিমাণ ৯ বছর। ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর এই বায়ু দূষণ জীবনকাল সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকার বাসিন্দারা গড়ে ৮ বছর করে আয়ু হারাচ্ছেন। চট্টগ্রামে আয়ু কমছে সাড়ে ছয় বছর করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সবক’টিতেই বাতাসে দূষণকারী কণার উপস্থিতি ডব্লিউএইচও’র সহনীয় সীমার বেশি।
অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। আদর্শ মাত্রার মধ্যে আছে মাত্র ১০টি জেলার বায়ুর মান। এই অতিরিক্ত বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর। বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর জরিপে এই তথ্য উঠে আসে। ক্যাপসের গবেষণায় অতিরিক্ত দূষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বাংলাদেশের ১৮টি জেলাকে। সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়েছে গাজীপুরে, এরপরেই রয়েছে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ, যেখানে বায়ুতে অতি ক্ষুদ্রকণার মাত্রা বাংলাদেশের আদর্শ মান প্রতি ঘনমিটারে ৬৫ মাইক্রোগ্রামের চাইতে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি। 

এসব জেলায় বায়ুদূষণ বেশি ও কম হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষক দল তাদের পর্যবেক্ষণে দেখেছে যে, সবচেয়ে দূষিত ওই তিনটি শহরে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ ও সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। যা ভূমিকা রাখছে দূষণ বৃদ্ধিতে। আশেপাশের প্রায় এক হাজার দুইশ’ ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প-কারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো সেখানকার দূষণের অন্যতম কারণ বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়। আবার যেসব অঞ্চলে বায়ুদূষণ কম সেখানে তারা এর কারণ হিসেবে রাস্তাঘাটে জ্বালানি তেলে চালিত যানবাহনের সংখ্যা, ইটের ভাটা কম থাকাকে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।  সেই সঙ্গে ওইসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ গাছপালা এবং প্রাকৃতিক জলাধার পরিবেশ দূষণ কমাচ্ছে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। 
বাতাসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপস্থিতির প্রভাবে সৃষ্ট দূষণ ও তার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর কি পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয় তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এই প্রাণহানি যে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি তা বলার অবকাশ রাখে না। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের অনুসন্ধানে দেখা গেছে বায়ু দূষণে বিশ্বজুড়ে বছরে মৃত্যু হয় অন্তত ৬৭ লাখ মানুষের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দূষণজনিত কারণে প্রতি বছর বিশ্বে মৃত্যু হয় ৪২ লাখেরও বেশি মানুষের। কিন্তু ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। 

 

 

গবেষণা তথ্য অনুযায়ী বিশ্ব প্রেক্ষাপটের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যে অনেক ভয়াবহ তা খুবই পরিষ্কার। বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের নগরগুলোর দূষণ পরিস্থিতি একেবারেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এইসব এলাকায় যারা বসবাস করছেন তাদের দূষণে আয়ু কমছে। জীবনী শক্তি কমছে। তারা কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেড়ে উঠছে ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়ে। বয়স্করা ভুগছেন নানা রকম রোগে। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের করা বায়ু মান তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্ষার সময়ের কিছু দিন ছাড়া পুরো বছরই বায়ুর মান খারাপ থাকে। বছরের অর্ধেক সময় এই মান থাকে একেবারেই খারাপ। এই সময়ে বাতাসে দূষণ বাড়ে কেন তা নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। তথ্য উপাত্ত সামনে এসেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দূষণের কারণ এবং তা প্রতিকারের দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের বড় শহর গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজকে। শুষ্ক মওসুমে যখন উন্নয়ন কাজ করা হয় তখন বাতাসে ধুলা ময়লা ছড়িয়ে পড়ে। এই দূষণ ঠেকাতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ব্যবস্থা নেয় না সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা নগর কর্তৃপক্ষও। এতে লাগামহীনভাবে ছড়ায় দূষণ। এ ছাড়া ইটভাটার কালো ধোঁয়াও বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা তথ্য অনুযায়ী বর্ষা শেষ হলেই ইটভাটাগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়। চলে পুরো শুষ্ক মওসুম জুড়ে। ইটভাটার এই ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া বন্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে খুব একটা সক্রিয় দেখা যায় না এই সময়ে। 

এ ছাড়া যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপনের ফলেও রাজধানীর আশপাশের নগরগুলোর পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। যথাযথ নিয়ম না মানার কারণে এসব এলাকায় স্থাপিত শিল্প-কারখানা থেকে ক্ষতিকর নানা উপাদান যুক্ত হচ্ছে বাতাসে। যা বায়ু দূষণে বড় ভূমিকা রাখছে। 
ঢাকার বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ সড়কে, পাড়া-মহল্লায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ এবং খোঁড়াখুঁড়ি। এই কাজ বছর জুড়েই চলতে থাকে। রাস্তা খোঁড়ার নির্ধারিত সময় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদাররা এর কোনো তোয়াক্কা করেন না। তাই এসব কাজে মানুষের  ভোগান্তির পাশাপাশি সৃষ্টি করে মারাত্মক দূষণ। আর এই দূষণের ভয়াবহ শিকার হচ্ছে প্রতিটি মানুষ। 

সম্প্রতি রাজধানীতে এই দূষণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বড় কয়েকটি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের কারণে ঢাকার প্রায় সব বড় রাস্তায় চলছে উন্নয়ন কাজ। দিনে রাতে এসব কাজ চলায় তৈরি হচ্ছে দূষণ। উন্নয়ন কাজ করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়ম বেঁধে দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না খুব একটা। বিশেষ করে উন্নয়ন কাজ চলাকালে সড়কে পানি ছিটানোসহ কিছু শর্ত থাকে সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু যারা এসব শর্ত মানে না তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার নজির খুব একটা নেই। দূষণ রোধে সময়ে সময়ে উচ্চ আদালত থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশনাও পালন করছে না সংশ্লিষ্টরা। 

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের বেহাল চিত্র দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে নির্মাণ কাজের ফলে পুরো সড়কই এখন ধুলায় ধূসর। বর্ষায় কাদা আর শুকনো সময়ে ধুলার দুর্ভোগ নিয়েই প্রতিদিন লাখো মানুষ পারাপার হচ্ছেন এই সড়ক দিয়ে। একইভাবে রাজধানীর আরেক প্রবেশ পথ যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ এলাকায়ও একই চিত্র। বাড়তি যানবাহনের চাপ আর খারাপ সড়কের কারণে দিনভর ধুলায় ধূসর হয়ে থাকে পুরো এলাকা। 

ঢাকা ও আশপাশের বড় নগরগুলোর এই ভয়াবহ দূষণ কিছুটা হলেও কমাতে পারে নগর কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে উন্নয়ন কাজগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে করা হলে। পরিবেশ দূষণকারী শিল্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে। সবুজায়নে গুরুত্ব দেয়া হলে। প্রাকৃতিক জলাধার বাড়ানো গেলে। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বাড়ানো গেলে দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদান পরিবেশে কম যুক্ত হবে। এতে প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের ওপর দূষণের চাপ কিছুটা হলেও কম হবে। একইসঙ্গে জনঘনত্ব কমানোর মাধ্যমেও দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরে ক্রমে বাড়ছে মানুষের চাপ। শিল্প-কারখানার আধিক্য থাকায় মানুষ কাজের জন্য ছুটে আসছে প্রতিনিয়ত। 

এভাবে মানুষের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া নগরে বাড়ছে দূষণের চাপ। জনঘনত্ব কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ না নেয়া হলে, শ্রমঘন শিল্প সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে না পারলে দূষণ সমস্যাও ক্রমে কেন্দ্রীভূত হতে থাকবে দিনের পর দিন। যা এক সময় বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। 
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী পরিবেশ বা বায়ু দূষণ শুধু যে নগরে বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে তা কিন্তু নয়। বেশির ভাগ জেলায় বায়ুর মান মানুষের সহনীয় মাত্রার  চেয়ে অনেক বেশি। এটি গ্রাম বলেন বা শহর বলেন সর্বত্র একই অবস্থা। এই অবস্থায় এ দূষণ রোধে জাতীয় নীতির পরিবর্তনও এখন সময়ের দাবি। এই দূষণ রোধে ক্রাশ কর্মসূচি নেয়া দরকার। অবকাঠামো উন্নয়নে যে বাজেট প্রণয়ন করা হয় তার একটি অংশ বরাদ্দ রাখা উচিত এই দূষণ রোধের কার্যক্রমে। কারণ উন্নয়ন যেমন মানুষের জীবন-জীবিকা সহজ করে এর বিপরীতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন মানুষের জীবনকে হুমকিতেও ফেলতে পারে। বড় বড় প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে যেমন পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নেয়া উচিত তেমনি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকেও নজর দেয়া জরুরি। দূষণ এখন এক বৈশ্বিক সমস্যা। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশই এই দূষণের শিকার। দূষণের জন্য এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিও অনেকটা দায়ী। তাই চাইলেই এখন আর পুরো দূষণমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তবে যথাযথ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হলে দূষণের মাত্রা কমিয়ে রাখা সম্ভব। এর জন্য যত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যাবে ততই নগর, নাগরিক, মানুষ এবং প্রকৃতিকে সুস্থ রাখা যাবে। 


লেখক: মানবজমিনের নগর সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status