শরীর ও মন
গর্ভাবস্থায় বমন-এর হোমিও চিকিৎসা
ডা. মুহাম্মদ দিলোয়ার হুসেন
১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবারসাধারণত গর্ভাবস্থায় ৬ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে সকালে বমি বা বমি বমি ভাব হয়। একে স্বাভাবিক গর্ভাবস্থার লক্ষণ বলেই ধরে নেয়া হয়। সাধারণত ঘুম থেকে জাগার পর পরই এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণত ১৪ সপ্তাহের পূর্বেই ওই লক্ষণগুলো বিদূরিত হয় এবং এর দ্বারা রোগিনীর স্বাস্থ্যের বা গর্ভাবস্থায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। যমজ গর্ভ হলে বমনের হার বেড়ে যায়। এ থেকে এ তত্ত্বের উদ্ভব হয়েছে যে, গোনাডোট্রফিনের বর্ধিত উৎপাদন কিংবা এর প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতাই এর কারণ। স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় এই হরমোন যখন সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপন্ন হয় তখনই বমি হয়ে থাকে। যদি বমি হতেই থাকে এবং তা রোগীর স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সে অবস্থাকে বলা হয় গর্ভাবস্থাজনিত বমনাধিক্য। এই অবস্থাতে যে প্রাণরাসায়নিক অস্বাভাবিক পরিবর্তনগুলো দেখা যায় সেগুলোর উদ্ভব হয় বমনাধিক্য, অনাহার থেকে। এ পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে কিটোনাধিক্য ইলেকট্রোলাইগুলোর অসামঞ্জস্য ও ভিটামিন ঘাটতি যে সময়ে ইলেকট্রোলাইট অসামঞ্জস্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না সে সময়ে মাতৃ মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ছিল বমনাধিক্য।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা: সাধারণত এই পীড়ার চিকিৎসা সহজেই করা যায় শুধু সাহস এবং কখনো বমন নিরোধী খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সদৃশ বিধান মতে হোমিও প্যাথিক ওষুধ দ্বারা। যেমন-নাক্সভমিকা, ইপিকাক, সিম্পোরি কার্পাস, পালসেটিলা, চায়না ইত্যাদি প্রয়োগ করলে এই সমস্যা দূরীভূত হয়। বমি খুব বেশি হলে প্রয়োজন বোধে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
লেখক: ডা. মুহাম্মদ দিলোয়ার হুসেন (বি.এইচ.এম.এস), প্রভাষক, শরীয়তপুর হোামিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।