টি-২০ বিশ্বকাপ
রেকর্ড জুটি হেলস-বাটলারের
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবারতিন বছর পর দলে ফিরলেন। ফিরেই একের পর এক চমক জাগানিয়া ইনিংস খেলতে শুরু করলেন অ্যালেক্স হেলস। ডোপ টেস্টে পজেটিভ হয়ে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই ওপেনার। পাকিস্তানের মাটিতে তিন বছর পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ দিয়ে ফিরলেন জাতীয় দলে। সুযোগ মিললো বিশ্বকাপেও। প্রথম চার ম্যাচে ৩০ রান করা হেলস পরের দুটিতে করলেন ৫২ ও ৪৭ রান। গতকাল অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৮৬ রানে। চার বাউন্ডারির সঙ্গে সাতটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। হয়েছেন ম্যাচসেরা। হেলসের সঙ্গে সমান তালে ব্যাট চালান জস বাটলার।
চলতি আসরেই সিডনিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন রুশো-ডি কক। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে-কুমার সাঙ্গাকারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬৬ রান করেন। গত আসরে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৫২* রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বিশ্বকাপে দেড়শ’ ছাড়ানো জুটি আছে পাঁচটি। দুটিতেই হেলসের নাম। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মরগানের সঙ্গে ১৫২ রানের জুটি গড়েন হেলস। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরিও হাঁকান তিনি। গতকাল ভারতের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারতেন হেলস। ১৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের দলীয় রান যখন ১৪০, হেলস তখন ৪১ বলে ৮০ রানে অপরাজিত আর বাটলার ৩৭ বলে ৫৬*। এরপর মাত্র ছয়টি বল খেলার সুযোগ হয়েছে হেলসের। টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন হেলস-বাটলার। চলতি বছর করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০ রান তাড়া করে সফল হন বাবর-রিজওয়ান। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে হেলস-বাটলারের জুটির চেয়ে বড় জুটি আছে শুধু একটি।
২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডেভিড মালান-উইয়ন মরগান মিলে ১৮২ রান তোলেন। ভারতের বিপক্ষেও এটি টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। বিশ্বকাপের আগে গোয়াহাটিতে কুইন্টন ডি কক-রাইলি রুশো করেছিলেন ১৭৪* রান। হেলসের জন্য গতকালের ইনিংসটি একটু বেশিই স্পেশাল ছিল। ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নেওয়ার পর হেলস বলেন, ‘কখনো ভাবিনি আরেকবার বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। চান্স পাওয়ার অনুভূতিটা ছিল স্পেশাল। এমন একটা দেশে বিশ্বকাপ খেলছি সেটা আমি ভালোবাসি এবং অনেক সময় কাটিয়েছি এখানে। আজ রাতে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেললাম। তবে জস (বাটলার) অসাধারণ খেলেছে। বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। বড় উপলক্ষ। যেভাবে খেললাম, আমি সত্যিই আনন্দিত। পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করার জন্য এটা (অ্যাডিলেড ওভাল) অন্যতম সেরা মাঠ। এখানে ব্যাট হাতে আমার সুখস্মৃতি রয়েছে।’