ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

চলতি পথে

‘প্রাইভেট’ না, চাই ‘পাবলিক’

শুভ কিবরিয়া
৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
mzamin

প্রাইভেট আর কোচিং ক্লাসে যাবার প্রবণতা যেকোনো সময়ের বিবেচনায় এখন বাড়ন্ত। ফলে শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে, খরচও বাড়ছে বল্গাহীনভাবেই। বলা হচ্ছে গ্রামে পরিবারগুলো শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য ২০০০ সালে যেখানে ব্যয় করতো ২৮%, সেটা ২০১০ সালে বেড়ে পৌঁছে গেছে ৫৪ শতাংশে। শহরে এই খরচ ৪৮% থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশে ঠেকেছে। বেসরকারি সংস্থার বিদ্যালয়গুলোর ফি সরকারি স্কুলের তুলনায় তিনগুণ। কিন্ডারগার্টেনের খরচ সরকারি স্কুলের তুলনায় নয়গুণ বেশি

বেসরকারি শিক্ষা প্রবণতা বাড়ছে  খরচও বাড়ছে।বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাব ও প্রসার বাড়ছে বিপুলতরভাবেই। শিক্ষার জন্য পরিবারপ্রতি খরচও বাড়ছে। শিক্ষাখাতের ব্যায়ের ৭১% বহন করতে হচ্ছে পরিবারকে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে টাকার বিনিময়ে শিক্ষা দেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত বাণিজ্যমুখীন।

বিজ্ঞাপন
ফলে খরচ ছাপিয়ে মুনাফার লক্ষ্যে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। দেশে এখন প্রাকপ্রাথমিকের অর্ধেকের বেশি শিশু নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি বিদ্যালয়, বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে। দেশে ২৯ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। প্রাথমিক স্তরের ২২% প্রতিনিধিত্ব করে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। মাধ্যমিক স্তরের অবস্থা আরও শোচনীয়। এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে আছে মাত্র ৬%, বাকি ৯৪% বেসরকারি বা প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দখলে। এটা বৈশ্বিক বিবেচনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার।  প্রাইভেট আর কোচিং ক্লাসে যাবার প্রবণতা যেকোনো সময়ের বিবেচনায় এখন বাড়ন্ত। ফলে শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে, খরচও বাড়ছে বল্গাহীনভাবেই। বলা হচ্ছে গ্রামে পরিবারগুলো শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য ২০০০ সালে যেখানে ব্যয় করতো ২৮%, সেটা ২০১০ সালে বেড়ে পৌঁছে গেছে ৫৪ শতাংশে। শহরে এই খরচ ৪৮% থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশে ঠেকেছে। বেসরকারি সংস্থার বিদ্যালয়গুলোর ফি সরকারি স্কুলের তুলনায় তিনগুণ। কিন্ডারগার্টেনের খরচ সরকারি স্কুলের তুলনায় নয়গুণ বেশি। প্রাইভেট পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াতে সন্তানের খরচ যোগাতে প্রায় এক তৃতীয়াংশ পরিবারকে ঋণ করতে বাধ্য হতে হয়। 

এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফামুখীন শিক্ষাবাণিজ্য যে রমরমা তার প্রমাণ হচ্ছে, ২০১২ সালে বেসরকারি কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৩ হাজার, ২০১৯ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৯ শত। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হালহকিকত নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক গবেষণায়। গবেষণাটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ও বেসরকারি সংস্থা ব্রাক।  এই রিপোর্টে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়েছে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাবলিক প্রতিষ্ঠানের চাইতে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের আধিক্য ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। যেহেতু পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও গুণ বাড়ছে না, তাই চাহিদার একটা বড় অংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে। যদিও সেখানেও গুণ ও মান দেখার কেউ নাই। তবুও ব্যাপক খরচ করেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিতে যেতে বাধ্য হতে হচ্ছে জনগণের বড় একটা অংশকে। ফলে, পরিবারে শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ছে হু হু করে।  আমাদের পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য শক্তিমান অংশীজনরাও এখন নিজেদের সন্তানদের পড়াতে ছুটছেন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের পেছনে। সে কারণে, পাবলিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্ব যাদের ওপর পড়ছে তারা ক্ষমতা, রুচি, মানে কোথাও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে না। ঢাকা শহরের সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলো তার বড় প্রমাণ। 

সেখানকার শিক্ষকরাও সম্ভবত তাদের সন্তানদের এসব স্কুলে পড়ান না। মধ্যবিত্ত বহু আগেই ঢাকা শহরের সরকারি প্রাইমারি স্কুল বিমুখ হয়েছে। যে কারণে এসব পাবলিক প্রাইমারি স্কুলগুলোর অভিভাবকত্ব শক্তিশূন্য হয়ে গেছে বহু আগেই। এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক কলেজ যেগুলো হয়েছে সেখানে অবকাঠামোগত ব্যয় বেড়েছে। হল, ক্লাসরুম হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও সমন্বয় ও দূরদর্শী চিন্তার আকাল পড়েছে।  যারা রাজনীতির খবর রাখেন তারা জানেন ভারতে বিজেপির প্রবল প্রতাপের মধ্যেও দিল্লিতে আম আদমী পার্টির সরকার বহাল আছে কিছু জনবান্ধব কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে। আম আদমি পার্টি দিল্লিতে ‘দিল্লি মডেল অব এডুকেশন’ থিমের আওতায় সেখানে পাবলিক স্কুলগুলোতে ব্যাপক সংস্কার চালিয়েছে। 

বলা হচ্ছে খরুচে প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এখন পাবলিক স্কুলমুখী হচ্ছে। প্রথমত তারা পাবলিক স্কুলগুলোর অবকাঠামো বিশেষ করে ক্লাসরুমে নান্দনিকতার প্রয়োগ ঘটিয়েছে। ভালো ফার্নিচার, স্মার্ট বোর্ড, সুন্দর স্থাপত্যনন্দন অডিটোরিয়াম, আধুনিক ল্যাবরেটরি, উন্নত লাইব্রেরি, খেলাধুলার সুব্যবস্থা তৈরি করেছে। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে, বিদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরিয়ে এনেছে। শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব বাড়ানোর জন্য বহুবিধ কর্মসূচি নিয়েছে। সবচাইতে বড় পরিবর্তন এনেছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে। এই কমিটিগুলোকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে জবাবদিহিতার আওতায় এনেছে। কারিকুলামে এনেছে বহুবিধ পরিবর্তন। তারা এই কারিকুলামকে বলছে, ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’। প্রাইভেট স্কুলগুলোর ওপর তদারকি বাড়িয়েছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বেতন বাড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে।

 বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব সরকার বিশেষায়িত পেশাদার লোকদের দিয়ে পরীক্ষা করছে। এর ফলে বিগত সময়ে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি টাকা নিয়েছিল, সরকারের বিশেষ কমিটি দ্বারা পরীক্ষার পর, তা অভিভাবকদের ফেরত দেয়ার ব্যবস্থাও করেছে। তারা ‘শিক্ষার ভিত্তি তৈরি’র দর্শন থেকে সরে এসে তাদের নীতি দর্শন পাল্টিয়ে বলছে, ‘শিক্ষাই ভিত্তি’ (Education is Foundation). সুতরাং পাবলিক খাতে শিক্ষাকে আধুনিক, শক্তিমান ও মানসম্পন্ন বানিয়ে জনগণের বৃহৎ অংশের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সে লক্ষ্যেই তারা কাজ করছে। বিদ্যুৎ, সড়ক, স্বাস্থ্য খাতের মতো শিক্ষাখাতেও জনগণের নিচের আয়ের বড় অংশের মানুষের কল্যাণকেই তারা রাজনীতির ভিত্তি ধরেছে। তাই, ক্ষমতাবান প্রাইভেট গোষ্ঠীর চাপের মুখেও আম আদমি পার্টির এসব জনবান্ধব কাজকে আমজনতা সমর্থন জুগিয়ে চলেছে। ফলে যারা বলেন, প্রাইভেট খাত তোষণ ছাড়া সরকার বাজার অর্থনীতির যুগে অচল, তারা প্রকৃত সত্য বলেন না। এটা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, নীতিগত দার্শনিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। বাংলাদেশে সকল ধারায় এখন পাবলিক খাততে চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা দরকার। 

পাবলিক খাত থেকে সকল অদক্ষতা, অসততা, দুর্নীতি, অক্ষমতা, জবাবদিহি হীনতা ঝেটিয়ে বিদায় করার ব্যবস্থা হাজির করা ফরজ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবরকমের লুণ্ঠনমূলক ব্যয়, লুণ্ঠনমূলক মুনাফাকে অবজ্ঞা করার রাজনৈতিক নির্দেশনা জারি করে তা তদারকির ব্যবস্থা নিতে যদি পারা যায় তবেই জনগণের বড় অংশ প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হবে। অন্যদিকে বাজার অর্থনীতিতে প্রাইভেট খাতকেও সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডে, নীতি-নৈতিকতার মধ্যে পরিচালিত করতে হবে। এ অবস্থায় প্রাইভেট খাত পুষ্ট হলে সেটা পাবলিক খাতকেও প্রতিযোগিতায় ফেলবে। কিন্তু আমাদের এখানে ঘটছে উল্টো। প্রাইভেট খাত যেকোনো মূল্যে মুনাফা আর বাণিজ্য বুঝছে, অন্যদিকে পাবলিক খাত দুর্বল ও অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ফলে পাবলিক ও প্রাইভেট খাতে ন্যায়ানুগ প্রতিযোগিতা অনুপস্থিত থাকছে। এই দুর্বল ব্যবস্থাপনায় না হৃষ্ট হচ্ছে পাবলিক খাত, না জনবান্ধব হচ্ছে প্রাইভেট খাত। দুইদিকেই জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  বাংলাদেশের বড় অংশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে পাবলিক খাতে আরও অধিকতর মনোযোগী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পাবলিক খাত দুর্বল হলে শিক্ষায়, অর্থনীতিতে কতিপয় গোষ্ঠী সুবিধা পাবে। সব অর্থেই তারা ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে। আমজনতা শিক্ষায়-স্বাস্থ্যে-পুষ্টিতে-অর্র্থনীতিতে দুর্বল হতে থাকবে। সেটার প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে। 

দুর্বল মানুষ অক্ষম হবে। রাজনীতি তার হাতছাড়া হয়ে যাবে। গণতন্ত্র কোনোদিন আলোর মুখ দেখবে না। আয়বৈষম্য বাড়তেই থাকবে। সমাজে শান্তি বিনষ্ট হবে। পক্ষান্তরে সেটা ক্ষমতাবানদেরই সুযোগ করে দেবে। দিনে দিনে আমরা যদি পাবলিক খাতকে, প্রাইভেট খাতের ওপর নির্ভর করে ফেলি, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা আরও বিনষ্ট হবে। সেটা আমাদের শিক্ষা, বাণিজ্য, রাজনীতি, গণতন্ত্র সবকিছুকেই ভঙ্গুর করে তুলবে। কেন না পাবলিক খাত শক্তিমান হলে আমজনতার ক্ষমতা বাড়বে। আমজনতার ক্ষমতা বাড়লে জনরাজনীতি ও জনগণের সরকার শক্তিমান হবে। দেশের আয়বৈষম্য কমে পরিমিত শক্তিমান অর্থনীতি হাজির হবে। সেটা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য মান সম্পন্ন নির্বাচন, পরিপক্ক ও টেকসই গণতন্ত্র উপহার দেওয়ার পথও তৈরি করবে।  পুনশ্চ: লেখাটা শেষ করি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির (১৯৩৫-২০২০) একটা গল্প দিয়ে। ভারতের এই সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান এক সময় প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। কংগ্রেসের আর একজন অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদাম্বরম। তাকে বলা হতো নিওলিবারেল অর্থনীতির মানুষ। 

বাজার অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষক। করপোরেট অর্থনীতির পক্ষের মানুষ। জাতীয় কংগ্রেসের এক মিটিংয়ে আলোচনাটা উঠেছিল। প্রণব মুখার্জিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল পি চিদাম্বরম সব সময় প্রাইভেট খাতকে শক্তিমান করার কথা বলেন। অপরপক্ষে আপনি সব সময় ‘পাবলিক খাত’, ‘পাবলিক খাত’ করতে থাকেন। এর কারণ কি? প্রণব মুখার্জি তখন বলেছিলেন, দেখুন, আমি এসেছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে। আমার বড় হওয়া, রাজনীতি করা সবই পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায়। আমার রাজনৈতিক মান সংগঠন তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বাম-জমানার ৩৪ বছরের শাসনের মধ্যদিয়ে। ফলে আমি পাবলিক খাতকে পুষ্ট করার নীতি-আদর্শ দিয়েই প্রভাবিত হয়েছি। পি. চিদাম্বরমের ক্ষেত্রে ঘটেছে হয়তো তার উল্টো! 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, [email protected]

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status