শরীর ও মন
ডিজিটাল হেলথ কেয়ার বিষয়ক বৈঠকে বক্তারা
প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে পারে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২ নভেম্বর ২০২২, বুধবার, ৮:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একটি জাতির মোট স্বাস্থ্য ঝুঁকি, সেবার খরচ এবং সময় কমাতে পারে বলে মনে করছেন সিমেড হেল্থ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সিমেড হেল্থ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০-ডিগ্রি প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
আজ বুধবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সিমেড হেল্থ ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, যদিও সারা বিশ্বে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একটি জাতির মোট স্বাস্থ্য ঝুঁকি, সেবার খরচ এবং সময় কমিয়ে দিতে পারে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে, যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে। এ পরিস্থিতিতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার কার্যকারিতা নিয়ে সিমেড হেল্থ এই আলোচনার আয়োজন করেছে।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা ও এর ব্যয় কমাতে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক সেবার প্রয়োজনীয়তা, প্রতিটি ব্যক্তির ডিজিটাল স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্ট থাকার গুরুত্ব, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়া ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়কে কেন্দ্র করে গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে দেশের শহর এবং গ্রামাঞ্চলে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) মডেল এর প্রয়োগ, কর্পোরেট এবং ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ফার্মেসির ভূমিকা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সিমেড হেল্থের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, পিএইচডি এবং সিওও- মো. আশরাফ দাউদ; ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ- মইনুল এইচ চৌধুরী; হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট-ডা. এ কে এম নাজমুল ইসলাম। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) -এর সদস্যবৃন্দ।
সিমেড হেল্থ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০-ডিগ্রি প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এটি ৩.৬ মিলিয়ন মানুষকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেবার মাধ্যমে সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোল-এর সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে যাচ্ছে। এইমস ল্যাব (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) থেকে শুরু হয়ে সিমেড অনেক পুরস্কার পেয়েছে যেমন: এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস (APICTA) ২০১৯, সীডস্টার্স গ্লোবাল ইনোভেশন প্রাইজ ২০১৮, ডিবিএস-এনইউএস সোশ্যাল ভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এ উদ্ভাবনী সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ অ্যাওয়ার্ড, জিপি এক্সিলারেটর এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে উদ্ভাবন অনুদান পেয়েছে।
সুস্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, সিমেড ডিজিটাল হেলথ কর্নার - একটি কর্পোরেট স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প এবং সুস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র - ফার্মেসির মাধ্যমে প্রদত্ত একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা সমাধান শুরু করেছে। এছাড়া রয়েছে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) মডেল -একটি প্রতিরোধমূলক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা যেখানে একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ১০০ টাকা হেল্থ-কার্ডের মাধ্যমে মাসজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়। সিমেড হেলথ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পিকেএসএফ এর ৫৮টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ইউনিসেফ, ব্র্যাক এর সাথে কাজ করে।