ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষাঙ্গন

রাবি সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি

(১ বছর আগে) ২ নভেম্বর ২০২২, বুধবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতিকে গালিগালাজ ও টেবিল চাপড়ে কাঁচ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হকের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে সভাপতিকে ‘লাঠি দিয়ে পেটানোর’ হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগমের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের সভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম বলেন, ২০২১ সালে সহযোগী অধ্যাপক হাকিমুল হক একটি প্রজেক্ট পেয়েছেন। এ বছরও একটি প্রজেক্ট চান তিনি। কয়েকদিন আগে প্রজেক্টের জন্য সুপারিশের অনুরোধ জানান। তবে পরপর দুবছর প্রজেক্ট দেওয়ার নিয়ম না থাকায় তাকে সেটা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

বিভাগের সভাপতি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার একটি প্রজেক্ট নিয়ে আবারও আমার কাছে আসেন একজন কর্মচারী। আমি কর্মচারীর মাধ্যমে তাকে জানাই, সই নিতে হলে হাকিমুল হককে আসতে হবে। পরে তিনি আসলে আমি তাকে আগের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি। এটা না করলে আমি সই করবো না বলেও জানিয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি টেবিল চাপড়াতে থাকেন। এতে টেবিলে কাঁচ ভেঙে যায়। যাওয়ার সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঠি দিয়ে আমাকে পেটানোর হুমকি দেন।’

অধ্যাপক ইসমত আরা জানান, এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও তার কাছে সংরক্ষিত আছে। সে কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
তার অভিযোগ, সই করা করলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি (হাকিমুল হক) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিতে পারতেন। তা না করে হাকিমুল হক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, টেবিল চাপড়ে ভেঙেছেন, যেটা তিনি কোনোভাবেই করতে পারেন না।

জানতে চাইলে ড. হাকিমুল হক বলেন, ‘সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতভর আমি প্রজেক্ট প্রস্তুত করেছি। এটি আজই জমা দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য প্রজেক্টে সভাপতির সুপারিশ করে সই প্রয়োজন ছিল। আমি একজন কর্মচারী দিয়ে ফাইলটি সভাপতির কাছে পাঠাই। কিন্তু তিনি আমাকে যেতে বলেন। পরে আমি গেলেও তিনি (অধ্যাপক ইসমত আরা) সই করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এসময় আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। উত্তেজনাবশত টেবিল চাপড়ে কথা বলার সময় কাঁচ ভেঙে গেছে, এটা অনিচ্ছাকৃতভাবেই ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘ওনি (ইসমত আরা) এর আগেও আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। বিভাগের সভাপতির কাজ সই করা। এটা তার রুটিন কাজ। কিন্তু তিনি তা না করে আগের অনেকগুলো ঘটনাকে সামনে এনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। আগামীকাল লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

শিক্ষাঙ্গন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শিক্ষাঙ্গন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status