ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

দরকষাকষি করে লাভ নেই নির্বাচনে আসুন

স্টাফ রিপোর্টার
১১ মে ২০২২, বুধবার
mzamin

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে দরকষাকষি করে কোনো লাভ নেই। তিনি বলেন, বিএনপিকে বলবো, দরকষাকষি করবেন না। কোনো লাভ নেই দরকষাকষি করে। সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ- দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যেসব কথা বলছে, দরকষাকষির জন্য বলছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই।

বিজ্ঞাপন
নির্বাচনে যদি জনগণ আপনাদের ভোট দেন, নির্বাচিত করেন বা আমরা হেরেও যাই, তারপরও এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সব সময় থাকবো। তিনি বলেন, জনগণকে আস্থায় নিয়ে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন আমরা করবো। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। বিএনপিকে আমরা বলবো, এদিক-সেদিক, দরকষাকষি না করে, নির্বাচনে আসুন। ইভিএম পরের ব্যাপার আগে পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর তারপর নির্বাচন মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএম পরের ব্যাপার কেন? আপত্তি কোথায়? পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? কারচুপি জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই এই ইভিএম ব্যবস্থার চেয়ে কোনো আধুনিক পদ্ধতি নেই। নির্বাচনে জালিয়াতি কারচুপি ঠেকানোর জন্য। এতে আপনাদের আপত্তি থাকবে কেন? পদত্যাগ কেন করতে হবে? কি কারণে আমরা কি অন্যায় করেছি? ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ধরনের কথা দেশের মানুষ ১৩ বছর যাবৎ শুনছে। গত নির্বাচনের সময়ও বিএনপি এবং তাদের জোটের হাঁকডাক শুনেছে। কিন্তু পানি ঘোলা করে অবশেষে তারা ডায়ালগে এসেছেন, প্রধানমন্ত্রী আহূত এবং নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। এবারও সেই একই কথা মুখে মুখে বলছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভালো করেই জানে, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের আসতেই হবে। তাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। কুমিল্লায় এলডিপি মহাসচিবের ওপর হামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হামলার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো ধরনের অপকর্ম, কোনো প্রকার অনিয়মের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। এখানেও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এলডিপি মহাসচিব নিজ হাতে ছোড়া গুলিতে ক্ষমতাসীন সংগঠনের দুইজন কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব এই বিষয়ে একটি শব্দও বলেননি। পুরোপুরি চেপে গেছেন। এটা কি রাজনৈতিক সততা? এটা কি গণতন্ত্র? এই ধরনের সত্য গোপনে হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়া এবং লালনের কাজটি তারা করে আসছেন তাদের জন্মলগ্ন থেকেই। ক্ষমতায় থাকাকালেও তারা এটিই করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আজকাল সবকিছু এক চক্ষু হরিণের মতো দেখেন। না হলে তিনি এলডিপি মহাসচিবের গুলি ছোড়ার বিষয়টি দেখতে পেতেন। তার বিবৃতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রকৃত সত্য লুকিয়ে শিবের গীত গাওয়ার জন্য। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হামলার পেছনে ইন্ধন ছিল ফখরুল সাহেবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ধারণা ক্ষমতালিপ্সায় অন্ধ হয়ে বিএনপি মহাসচিব পলিটিক্যাল হ্যালোসিয়েশনে ভুগছেন। ক্ষমতার থাকা অবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হামলার পরিকল্পনা করা, সন্ত্রাস চালানো গ্রেনেড হামলা, আগুন-সন্ত্রাস এই সব কাজের চর্চার অপরাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের পথ তারাই বেছে নেয়, যারা ব্যালটের ভোটে আস্থা হারিয়ে নির্বাচনবিমুখ হয়। ষড়যন্ত্র তাদের হাতিয়ার, যারা গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে চোরাগলি খুঁজে বেড়ায়। বিএনপি’র এসব অপরাজনীতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতির রাজনীতি বিএনপি’র মিথ্যাচারের রাজনীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। নির্বাচনে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে কোনো ছাড় দিচ্ছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে ছাড়ের বিষয় নয়। আমরা তাদেরকে বলছি, তারা দেশের একটা বড় দল। তারা নির্বাচনে আসুক, একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ইলেকশন হবে এটা আমরা চাই। সে কারণে বলছি। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা কোনো সুযোগ না। সুযোগ বিতরণ করা হয়, অধিকার বিতরণ করা হয় না। এটা তাদের অধিকার তারা নির্বাচনে আসবে, আমি এটাই বুঝি। 
 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status