প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন জমা, দায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

 করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার অপেক্ষা করছে প্রশাসন। গতত রোববার রাতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জহুরুল ইসলামের নিকট ওই প্রতিবেদন জমা দেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে তদন্ত করেছে। তারাও স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবে। সব তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (ক্যাবিনেট) যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে নৌকা দুর্ঘটনার জন্য খেয়াঘাটের ইজারাদার ও মাঝির দায়িত্বহীনতা, গাফিলতি, অদক্ষতা, অসচেতনতাকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া, তদন্ত প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য ৫ দফা সুপাারিশ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার চতুর্থ দিনে হিমালয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে নিখোঁজ ছিল ৩ জন।

তারা এখনো উদ্ধার হয়নি। এ কারণে গতকাল থেকে উদ্ধার অভিযান সীমিত করা হয়েছে। একটানা ৮ দিন ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের ৭০ জন সদস্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আসলেও গতকাল থেকে শুধুমাত্র বোদা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। বোদা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, গতকাল থেকে আমাদের ৭ জন সদস্য নদীর বালুচরগুলোতে মরদেহ খোঁজার কাজ শুরু করেছেন। নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন স্পিডবোট ও নৌকার প্রয়োজন হচ্ছে না। নদীতে হেঁটে হেঁটে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।