প্রথম পাতা
শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি হবে সরকারের
স্টাফ রিপোর্টার
১১ মে ২০২২, বুধবারবর্তমান সরকারের পরিণতি শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়ে খারাপ হবে। সেখানে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সব। আর এরা ঝাঁপিয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগরে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি থেকে এই সরকারের শিক্ষা নিয়ে লাভ হবে না। কারণ শিক্ষা নিতে জানে না তারা। তাহলে এই ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারতো। কোনো শিক্ষা নেয়নি। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
ওদিকে বিরোধী দলের নেতাদের ওপর ‘সরকারি দলের হামলার’ অভিযোগ তুলে সারা দেশে দুইদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আগামী ১২ই মে ঢাকা মহানগরে এবং ১৪ই মে সারা দেশে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে সারা দেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা ও তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ এবং পরবর্তীতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার কুমিল্লার ঘটনা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা ও তাকে গ্রেপ্তার, ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের ওপর হামলা হয়েছে। পটুয়াখালীর সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়াসহ সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালীর নেতাদের ওপর হামলা করেছে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’।
মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। আগামী ২৯শে মে থেকে ৭ই জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচির মধ্যে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে নয়া পল্টনে বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা হয়। রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপি’র আমিনুল ইসলাম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল এতে অংশ নেন।