ধূমপায়ী! বয়স ৫৫ হলে ফুসফুস স্ক্যান করান

বয়স যদি ৫৫ বছরের বেশি হয় এবং সেই ব্যক্তি যদি কখনো ধূমপান করে থাকেন, তাহলে তাকে ফুসফুস স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। বৃটেনের ন্যাশনাল স্ক্রিনিং কমিটি (ইউকেএনএসসি) এমন পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়েছে ৫৫ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদের গণহারে এই পরীক্ষা করা উচিত। প্রতি বছর বৃটেনে এ জাতীয় ক্যান্সারে মারা যান কমপক্ষে ৩৫ হাজার মানুষ। ইউকেএনএসসি বলেছে, ফুসফুসের স্বল্প মাত্রার একটি সিটি স্ক্যানেই ধরা পড়ার কথা ক্যান্সারের ঝুঁকি। প্রতি বছর বৃটেনে ৪৮ হাজার মানুষের মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। এর কারণ ধূমপান। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রথম পর্যায়ের ফুসফুস ক্যান্সার যাদের ধরা পড়ে, তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি রোগ শনাক্তের পর ৫ বছর বা তারও বেশি সময় বেঁচে থাকেন। কিন্তু চতুর্থ স্টেজে যাদের ক্যান্সার ধরা পড়ে তাদের প্রতি একশ জনের মধ্যে ৫ জনেরও কম মানুষ রোগ শনাক্তের পর ৫ বছর বেঁচে থাকেন। 

ইউকেএনএসসির এই সুপারিশকে সমর্থন দিয়েছে ক্যান্সার রিসার্স ইউকে।

এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইয়ান ওয়াকার বলেছেন, ফুসফুসের স্ক্যান যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত। আমরা এই সুপারিশকে স্বাগত জানাই এবং সরকারের কাছে আহ্বান জানাই যত দ্রুত সম্ভব এই স্ক্যানিং কর্মসূচি তত তাড়াতাড়ি শুরু করতে। অন্য যেকোনো ধরনের ক্যান্সারের চেয়ে বৃটেনে বেশি মৃত্যু হয় ফুসফুসের ক্যান্সারে। এক্ষেত্রে আগেভাগে স্ক্যানিং বা ডায়াগনোসিস করা হলে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব। এক্ষেত্রে চিকিৎসা হবে সফল। 

যে সুপারিশ করা হয়েছে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সরকারের মন্ত্রীরা। সাধারণত তারা ইউকেএনএসসির প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে এক্ষেত্রে সুপারিশ গ্রহণে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।