শেষের পাতা
করতোয়া ট্র্যাজেডি, এখনো নিখোঁজ ৩
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবারহিসাবে আরও ৩ জন নিখোঁজ। কিন্তু করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবি ট্র্যাজেডির পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবারে একটি লাশও উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজ থাকা ৩ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু। তারা হলেন-দেবীগঞ্জ শালডাঙ্গা ইউনিয়নের শিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদনের ছেলে ভূপেন (৪২), বোদা উপজেলার সাকোয়া ডাঙ্গাপাড়ার খগেন্দ্র নাথ বর্মণের ছেলে সুরেন (৬৫) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথের মেয়ে জয়া রানী (৪)। নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধানে গতকাল সকাল ৬টা থেকে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি দল। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা। ১২ জন ডুবুরি ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুরের খানসামা পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নদী এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। সকাল থেকে মরদেহের খোঁজে স্বজনদের নদীতীরে জড়ো হতে দেখা যায়। মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে খোলা তথ্য কেন্দ্রের সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে বোদা উপজেলার মাড়েয়া আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত সর্বশেষ ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকালে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ও ক্ষক্ষিগ্রস্ত পরিবারের হাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা এবং রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ৫ হাজার করে টাকা ও চালসহ দুই বস্তা শুকনো খাবার তুলে দেয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রী ও বোদা-দেবীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান যৌথভাবে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, নৌকাডুবিতে এত মানুষ দেশে আর কোথাও মারা যায়নি। ঘটনার প্রথম থেকেই সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নৌকাডুবি ট্র্যাজিডির তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় বলেন, আগামী রোববার তদন্ত রিপোর্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দেয়া হবে। তদন্ত রিপোর্টে নৌকাডুবির কারণ ও দায়ীদের ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। ইতিমধ্যে নৌকার মাঝি বাচ্চুর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।