বিশ্বজমিন
বিক্ষোভকারীদের সামনে রেড লাইন বেঁধে দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
ইরানের বিক্ষোভকারীদের সামনে ‘রেড লাইন’ টেনে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দেশের চলমান বিক্ষোভকে ‘বিশৃঙ্খলা’ দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। রাইসি বলেন, মাহসা আমিনির মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক, তবে এর জন্য যে বিক্ষোভ হচ্ছে তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে জানানো হয়, সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাইসি। এতে তিনি বলেন, যারা এসব বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে তাদেরকে কঠিনভাবে সামলানো হবে। এটাই ইরানি জনগণের দাবি। ইরানে মানুষের নিরাপত্তাই হচ্ছে রেড লাইন এবং কেউই এটি অতিক্রম করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, শত্রুরা এখন ইরানের জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে এবং ইরানিদের একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।
গত ১৬ই সেপ্টেম্বর পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় মৃত্যু হয় ২২ বছরের আমিনির। তার পরিবারের দাবি, তাকে পুলিশ নির্যাতন করলে তার মৃত্যু হয়। তবে এমন দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
রাইসি বলেন, আমিনির মৃত্যু নিয়ে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। শীগগিরই তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ফাইনাল রিপোর্ট আসবে। কিন্তু রাস্তায় যারা বিক্ষোভ করছে তাদের বিষয় আলাদা। ইরানে গত তিন বছরের মধ্যে সবথেকে বড় বিক্ষোভ চলছে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীও যোগ দিয়েছে। অনেকেই তার হিজাব পুড়িয়ে ফেলছে, কেউ কেটে ফেলছে চুলও। দেশটিতে নারীর পোশাক নিয়ে যে কড়াকড়ি রয়েছে তার প্রতিবাদেই এসব করছেন নারীরা।
শুধু ইরানেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে ইরানের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। অনেক দেশে রাস্তায়ও প্রতিবাদ ও সমাবেশ করতে দেখা গেছে। তবে ইরানের মধ্যে পুলিশ কঠোরভাবে এই বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। ইরান এই বিক্ষোভের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করছে। তাদের উস্কানিতেই ইরানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি তেহরানের। এমনকি ইরাকে থাকা কুর্দিরাও এই উত্তেজনার পেছনে রয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
এর জেরে ইরাকে অবস্থিত কুর্দিদের অবস্থানকে লক্ষ্য করে বুধবার মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। এতে ১৩ নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়েছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইরাক, বৃটেন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র।