শেষের পাতা
টুকুর বক্তব্য ‘অশালীন’- জামায়াত
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবারবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের ‘পরকীয়া প্রেম চলছে’ এমন বক্তব্যকে ‘অশালীন’ বলেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, ‘২৬শে সেপ্টেম্বর বিএনপির এক সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত যে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন, তা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। এটি কোনো রাজনীতিবিদের ভাষা হতে পারে না। তার এ বক্তব্য স্বৈরাচারী শাসনকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্র তৈরি করবে। এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মুখে প্রায়ই শুনি, যেটা বুলি হয়ে গেছে। তারা প্রায়ই বলে, বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময় এসেছে আওয়ামী-জামায়াত, আওয়ামী-জামায়াত বলার। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামী লীগও উর্দু। দুটো একসঙ্গে মিলবে ভালো। কেননা, ওনারা (আওয়ামী লীগ) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করে না।
ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে টুকুর কথা ও মর্মবেদনায় জনগণের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কার স্বার্থে এবং কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো কোনো আপস, গোপন ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না এবং করার প্রশ্নই আসে না।
‘একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে’ দলের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে দণ্ড দিয়ে কারাগারে আটক রাখা এবং তিনজনের কারাগারে মারা যাওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সে দলটি সম্পর্কে ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে। যে মুহূর্তে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর, সে সময় তার এ বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে। তার বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, তিনি জনগণের ভাষা বুঝতে অক্ষম এবং তিনি জনগণের ভাষায় কথা বলতে পারেন না।