দেশ বিদেশ
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি ও তেল
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবারসরকার নির্ধারণ করে দিলেও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি ও তেল। গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এদিকে, বাজারে প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিকেজি প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা, খোলা চিনি ৮৪ টাকা এবং পাম অয়েলের লিটার ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। যা রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমার পরিবর্তে উল্টো চিনির দাম বেড়েছে। আগারগাঁওয়ের সাত্তার স্টোরের মালিক বলেন, খুচরা খোলা চিনি বিক্রি করছি ৯০ টাকা কেজি। তবে যদি পাইকারি ৫ থেকে ১০ কেজি নেন, তাদের কাছে ৮৮ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তিনি বলেন, শুনেছি সরকার চিনির কেজি ৮৪ টাকা নির্ধারণ করেছে।
তার সঙ্গে যাতায়াত খরচ মিলিয়ে সাড়ে ৮৬ টাকা কেজি দামই পড়েছে। এক থেকে দুই টাকা লাভে বিক্রি করছি। তিনি বলেন, পাম অয়েল কেজি বিক্রি করছি ১৩৮ থেকে ৪০ টাকা। তবে পাইকারি ১৩৫ টাকা কেজি। সপ্তাহ দুয়েক আগেও পাম অয়েলের দাম কমেছিল। এখনো সেই দামে বিক্রি করছি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, রোববার থেকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা, খোলা চিনি ৮৪ টাকা এবং পাম তেলের লিটার ১৩৩ টাকায় বিক্রি হবে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পাম তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মিলগেট, পরিবেশক ও খুচরা পর্যায়ের জন্য আলাদা দাম ঠিক করে দেয়া হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার পাম সুপার খোলা তেল মিলগেট থেকে ১২৮ টাকায় কিনে পরিবেশকরা ১৩০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হবে ১৩৩ টাকায়। প্রতি কেজি খোলা চিনি মিলগেটে ৭৯ টাকায় কিনে পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হবে ৮৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি মিলগেটে ৮২ টাকায় কিনে পরিবেশকরা বিক্রি করবে ৮৪ টাকা। ভোক্তাদের কাছে চিনি বিক্রি হবে ৮৯ টাকায়।