আলোকিত সাকিব প্লে-অফে গায়ানা

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে সেরাটা দেখালেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সমান অবদান রেখে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে এনে দিলেন জয়। শনিবার সিপিএল-এ সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৩৭ রানে হারায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। প্লে অফের টিকিট পেতে হলে টানা তিন ম্যাচে জয় চাই- এমন সমীকরণ সামনে রেখে গায়ানা দলে যোগ দিয়েছিলেন সাকিব। আর বাংলাদেশি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অন্তর্ভুক্তিতে ঘুরে দাঁড়ালো গায়ানা। দলে যোগ দেয়ার পর এটি সাকিবের  টানা তৃতীয় জয়। আসরে সাকিব দলে যোগ দেয়ার আগে ৬ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় দেখেছিল গায়ানা। বৃষ্টিতে এক ম্যাচ পণ্ড হলে গায়ানার একাউন্টে যোগ হয়েছিল আরো ১ পয়েন্ট। তবে শনিবার জয় শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। এতে গায়ানার নিশ্চিত হয়েছে প্লে-অফের টিকিটও।

এদিনের হারে বিদায় নিয়েছে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আগের দুই ম্যাচে বোলিংয়ে মোটামুটি ভালো করলেও ব্যাট হাতে পুরোপুরিই ব্যর্থ ছিলেন সাকিব। টানা দুই ম্যাচে খাতা খোলার আগেই উইকেট খোয়ান তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন সাকিব। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। আর ক্ষিপ্র ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে নিকোলাস পুরানকে করেন রানআউট। তিন বিভাগে ভালো করার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সাকিবের হাতেই। নিজেদের ভেন্যু প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে সাকিবের দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাবে ১৩৬ রানে থামে ত্রিনবাগোর ইনিংস। ১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করলো ত্রিনবাগো। গায়ানার পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৪২ বলের ইনিংসে ৬টি ছক্কা হাঁকান গায়ানার আফগান ওপেনার । ৪ নম্বরে নামা সাকিব ৪টি চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করেন। পরে বল হাতে নিয়ে নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরান ত্রিনবাগোর ক্যারিবীয় ওপেনার টিম সেইফার্টকে। সাকিব তার প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ৮ রানে নেন এক উইকেট। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ফের আক্রমণে এসে আরও ২ উইকেট তুলে নেন সাকিব। তার স্পিনে কুপোকাত হন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের দুই মারকুটে ব্যাটার আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইন। আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন সাকিব। বাংলাদেশি বাঁহাতি স্পিনারের করা দ্বিতীয় ওভারে মিড উইকেটে একটি সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন গায়ানার ফিল্ডার। ইনিংসের ১১তম ওভারে শর্ট মিড থেকে সরাসরি থ্রোতে ত্রিনবাগোর শীর্ষ ব্যাটার নিকোলাস পুরানকে রানআউট করেন সাকিব।