নিজ ঘরে ২১ ম্যাচ পর হার স্পেনের

গত ৪ বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে প্রথম হারের স্বাদ পেলো স্পেন। শনিবার নেশনস লীগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয় তারা। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ কোনো হোম ম্যাচে হেরেছিল স্পেন। এই হারে পর্তুগালের কাছে শীর্ষ স্থান খুইয়েছে স্পেন। নেশনস লীগের সেমিফাইনালে যাওয়া কঠিনই হয়ে গেলো তাদের জন্য। লুইস এনরিকের শিষ্যরা ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এ২ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পর্তুগাল। মঙ্গলবার পর্তুগালের বিপক্ষেই ষষ্ঠ ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে স্পেন। সেমিফাইনালে যেতে জয় ছাড়া উপায় নেই তাদের। ৬ পয়েন্ট থাকায় নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও সেমিতে যেতে পারবে না সুইজারল্যান্ড।

 শুধু ড্র করলেই যেহেতু পর্তুগালের শেষ চার নিশ্চিত, কাজেই অনেকটা নির্ভার হয়ে মাঠে নামতে পারবে তারা। তবে ঘরের মাঠে স্পেনকে হারিয়েই সেমিতে যেতে চায় নেশনস লীগের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার দিয়োগো দালত বলেন, ‘অনেক কঠিন হবে ম্যাচটা। তবে আমরা জয়ের জন্যই খেলবো।’ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস বলেন, ‘সবসময়ই বলে এসেছি, স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটা হবে ফাইনালের মতো।’ ভয় পাচ্ছেন না স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নতির প্রয়োজন আছে। তবে সময়ও পাচ্ছি যথেষ্ট। পর্তুগালে ম্যাচটা হবে ফাইনাল। আমরা সেটি জেতার চেষ্টা করবো।’ শনিবার ঘরের মাঠে ৭৫% বল দখলে রেখেও সুইজারল্যান্ডের চেয়ে কম সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয় স্পেন। লা রোমারেদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির ২১তম মিনিটে নেয়া হেডের গোলে লিড নেয় সুইজারল্যান্ড। বিরতির পর সমতা আনে স্পেন। ৫৫তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন জর্ডি আলবা। ২০১৭ সালের পর জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল পেলেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। তবে ৫৮তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার আত্মঘাতী গোল ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় ম্যাচের। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল স্পেন। এরপর নিজেদের ডেরায় সব প্রতিযোগিতায় টানা ২১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের হারটি ২০০৩ সালের পর হোম ভেন্যুতে মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে স্পেন কোচ এনরিকে বলেন, ‘শুরুটা ভালোই হয়েছিল। এরপর খেই হারিয়ে ফেলি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরেছিলাম। এরপরই কর্নার থেকে দ্বিতীয় গোল হজম করি। এটা ফুটবলের অংশ। ফুটবল সবসময় বিস্ময় উপহার দিয়ে যায়। অনেকেই বলছিল সুইজারল্যান্ডকে সহজেই হারাবো আমরা। এখন আমরা দেখতে পেলাম কোনো কিছুই সহজ নয়।’