শিক্ষাঙ্গন
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা, মুচলেকা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মুক্তি
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১০ মে ২০২২, মঙ্গলবার, ১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৬ অপরাহ্ন
পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ২১ দিন বন্ধ রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। বন্ধের সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিরাগত তিন বান্ধবী ও তার স্বজনদের নিয়ে ক্যাম্পাসে জোর করে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আযম ফাহিম।
বহিরাগত নিয়ে প্রবেশ করতে বাধা করলে তিনি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাকে তিনি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি। সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইজার আলী আটক এবং মুচলেকা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম বহিরাগত তিন বান্ধবী ও স্বজনদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর আসানুজ্জামান আশান ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্তকর্তারা ছাত্রলীগ নেতাকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জানিয়ে তার বান্ধবী ও স্বজনদের চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এতে ফাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী প্রক্টর আশান ও সেখানে উপস্থিত আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিক সকলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করাসহ অশোভন আচরণ করেন। পরে সহকারী প্রক্টর আশান বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইজার আলীকে ফোন করলে পুলিশ সদস্যরা এসে ফাহিমকে আটক করে নিয়ে যান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা ফোন করে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।
এসআই ইজার আলী বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে আটক করা হয়েছিল। পরে সহকারী প্রক্টরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের ছাত্রত্ব নেই। এখন সে সাবেক ছাত্র। ঈদ উপলক্ষে ১৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরেও তিনি তিন বান্ধবী ও স্বজনদের নিয়ে ক্যাম্পাসে জোর করে প্রবেশ করেন।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরেও সাবেক ছাত্র ফাহিম তিন জন বহিরাগতকে নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় সহকারী প্রক্টরকে চরমভাবে অপমানিত করে সে। এ ঘটনায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে সে ছাড়া পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল আযম ফাহিমের ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে তিনি সিভি জমা দিয়েছেন। এছাড়া সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার বয়সও পার হয়ে গেছে।