৪৯৫ মিনিট গোলহীন ইংল্যান্ডের ‘অবনমন’

উয়েফা নেশনস লীগে ৫ ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখলো না ইংল্যান্ড। শুক্রবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ইতালির কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ইংলিশরা। ২০১৪ সালের পর প্রথমবার টানা ৫ ম্যাচে জয়হীন ইংল্যান্ড। মাত্র ২ পয়েন্ট থাকায় ‘এ’ লীগের ৩ নম্বর গ্রুপে তলানিতে অবস্থান দলটির। ইতালির কাছে হেরে নেশনস লীগের এলিট গ্রুপ থেকে নিচে নেমে গেলো ইংল্যান্ড। এ কারণে ২০২৪ ইউরো বাছাই পর্বে কঠিন গ্রুপে পড়তে পারে তারা।
গত জুনে নেশনস লীগের প্রথম সাক্ষাতে গোলশূন্য ড্র করে ইংল্যান্ড-ইতালি। শুক্রবার মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে জালের দিশা পায়নি কোনো দল। প্রথম ৪৫ মিনিটে উল্লেখযোগ্য আক্রমণই দেখা যায়নি। তবে বিরতির পর প্রাণ ফেরে ম্যাচে। ৬৮তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন জিয়াকমো রাসপাদোরি।

এগিয়ে যায় ইতালি। শেষ দিকে দু’বার হ্যারি কেইনের শট আটকে দেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। ১৯৬১ সালের পর থেকে ইতালির মাঠে জয় নেই ইংল্যান্ডের। 
আক্রমণভাগে কেইন, রাশফোর্ড, জ্যাডন সানচো, ফিল ফোডেন, জুড বেলিংহামের মতো তারকা থাকা সত্ত্বেও ওপেন প্লে থেকে টানা ৪৯৫ মিনিট কোনো গোল করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইতালির বিপক্ষে মাঠের দর্শকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে কেইনদের। সমালোচনার শিকার কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও। ছন্দে না থাকার পরও ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ারকে শুরুর একাদশে রাখেন তিনি। ম্যাগুয়ার যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল হজম করবে ইংল্যান্ড। জিয়ানলুকা স্কামাক্কা ও জিওভানি ডি লরেঞ্জোর শট পোস্টে না লাগলে হারের ব্যবধান হতো ৩-০। তবে কোচ সাউথগেট বলেন, ‘পারফরম্যান্সের ব্যাপারে সমালোচনা করা আমার জন্য কঠিন। আমাদের পজেশন বেশি ছিল, লক্ষ্যে বেশি শট নিয়েছি। ম্যাচের সিংহভাগ সময়ে আমরা ভালো খেলেছি। চূড়ান্ত মুহূর্র্তগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আক্রমণভাগে আমাদের আরও বেশি ক্ষীপ্র হওয়া উচিত ছিল। এতকিছুর পরও বলবো আমাদের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি হয়েছে।’  
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইংল্যান্ড দলে আত্মবিশ^াসের ঘাটতি চরমে। আক্রমণভাগে তাদের ক্ষিপ্রতা হারিয়ে গেছে। যেটি দেখা গিয়েছি গত বিশ^কাপ এবং সর্বশেষ ইউরোতে। আগামী সোমবার ওয়েম্বলিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে ‘থ্রি লায়ন্স’ খ্যাত দলটি।