শেষের পাতা
জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যা
হাইকোর্টের রায় বুধবার
স্টাফ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবারজাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র পাঁচ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, এ মান্নান ও জাকির হোসেন মাসুদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। এর আগে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে। সোমবার সেটির শুনানি রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হলো।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩রা অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র জঙ্গিরা। ২০১৬ সালের ৭ই আগস্ট জেএমবি’র ওই আট জঙ্গির বিরুদ্ধে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। পরে মামলাটি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তরিত হলে ২০১৬ সালের ১৫ই নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় বাদীপক্ষের ৫৫ জন সাক্ষী এবং আসামিপক্ষের একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
২০১৭ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যার দায়ে জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেএমবি’র পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, একই এলাকার ইছাহাক আলী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন।