শেষের পাতা
করোনা শনাক্তের হার প্রায় ১৩ শতাংশ পাঁচ সুপারিশ জাতীয় কারিগরি কমিটির
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবারদেশে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশে পৌঁছেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি। সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা গ্রহণ করেন নি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করারও সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ পৌঁছেছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫২৭ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৪১ জন। ৫২৭ জনের মধ্যে রাজধানীতেই ৪৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু শূন্য।
এতে জানানো হয়, দেশে ৮৮১টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৫৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৪ হাজার ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। দেশে মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৭২৭ জন এবং নারী ১০ হাজার ৬১২ জন।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ঢাকা মহানগরের রয়েছেন ৪৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
পাঁচ দফা সুপারিশ: বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার খরচ কমানোর সুপারিশসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। শনিবার রাতে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে। দেশে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ বৈঠক হয় বলে জানান জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ। কারিগরি কমিটির ভার্চ্যুয়াল এই সভাটি ছিল ৫৯তম। সভায় জানানো হয়, কয়েকদিন ধরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তির দিকে। এ নিয়ে আলোচনার পর পাঁচ দফা সুপারিশ করেন কারিগরি কমিটির সদস্যরা। এর মধ্যে আছে সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করারও সুপারিশ করা হয়। বদ্ধস্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব ভার্চ্যুয়ালি করার সুপারিশ করে কমিটি। অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভাগুলোতে মাস্ক পরার সুপারিশও করা হয়। আর বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় কমিটি।