ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ

নাসির উদ্দিন বাদল, নোয়াখালী থেকে
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
mzamin

মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে হাতিয়ার ‘নিঝুম দ্বীপ’। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক, বাজারগুলো প্লাবিত হয়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় পুরো নিঝুম দ্বীপসহ আশপাশের এলাকা। এতে ৩০ হাজার লোক পানিবন্দি রয়েছে। জোয়ারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।  এদিকে জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করা লোকজন। নলচিরা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ জানান, নলচিরার তুপানিয়া গ্রামের বেড়ির বাইরের প্রায় ২শতাধিক পরিবারের বসতঘরে পানি উঠেছে। এতে রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা।

বিজ্ঞাপন
নিঝুম দ্বীপে কর্মরত দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী নুর নবী জানান, জোয়ারে পানি ঢুকে পড়ছে নিঝুম দ্বীপের প্রতিটি ওয়ার্ডে। প্রধান সড়কটি ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ওই সড়কে কয়েকটি মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে অনেকে নিঝুম দ্বীপের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে  যাতায়াত করছে লোকজন। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে মানবজমিনকে বলেন, নিঝুম দ্বীপে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটি সাগরের একেবারে কাছে হলেও নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে জোয়ারের সময় চারদিক দিয়ে একসঙ্গে পানি এ ইউনিয়নে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা ও চরাঞ্চল ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করে একটি তালিকা দেয়ার জন্য বলেছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহযোগিতা করা হবে।  এদিকে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি থাকলেও প্রশাসন বা কোনো এনজিও কোনোপ্রকার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এলাকায় বর্তমানে, খাদ্য, শুকনো খাদ্য, শিশুখাদ্য, গোখাদ্য বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপে হরিণের খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে এ সুযোগে বন্যকুকুর ও অসাধু মানুষরা হরিণগুলো শিকার করছে। নোয়াখালীর উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নিঝুম দ্বীপে জোয়ারের পানি ঢুকেছে কিনা বা কোনো হরিণ লোকালয়ে প্রবেশ করেছে কিনা তা তার নলেজে নেই বলে জানান। তিনি বলেন খবর নিয়ে জানোনা হবে। এদিকে নিঝুম দ্বীপের রেঞ্জ অফিসার কয়েক দিন থেকে কর্মস্থলে হাজির নেই বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

সিন্ডিকেট চক্রের ঈদ বাণিজ্য/ ট্রেনের ১০৫৩ টাকার এসি চেয়ার ২৫০০

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status