ফেনীতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলি, আহত-১৫

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেড়িং এবং ভোলায় হত্যার প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে আওমামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকালে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোডের মাথায় শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপি, পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক জনকে আটক করেছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে গতকাল বিকালে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেড়িং এবং ভোলায় দলীয় নেতা হত্যার প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি মিছিল সমাবেশ স্থলে যাওয়ার পথে পেছন থেকে শহীদুল্লা কায়সার সড়কের জগন্নাথ বাড়ি মন্দিরের সামনে থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার জানান, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র পাহারা বসায়। তাদের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ মানুষের গণস্রোত দেখে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা পেছন থেকে হামলা চালায়।

হামলায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রতন, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ আলমসহ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু বলেন, তাদের দলীয় লোকজন শান্তশিষ্টভাবে ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতকর্মীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, শান্তির জনপদকে অশান্ত করার জন্য বিএনপির মিছিলে কে বা কারা হামলা করেছে তা জানা নাই। এ ঘটনায় আমাদের কেউ আহতও হয়নি। তবে সিসি টিভি রয়েছে সেগুলো দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, বিএনপির সমাবেশ সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪/১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনেক আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা পুলিশ অবগত নয়।