কটিয়াদীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পান্না আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৃকরেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শিমুহা নেহারদিয়া গ্রামে গৃহবধূর স্বামী মারফত আলীর বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পান্না আক্তার পার্শ্ববর্তী নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের ধারীশর গ্রামের আবু বাক্কারের মেয়ে। পান্নার পিতার অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে হত্যা করে লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে। জানা গেছে, গত জুন মাসের শেষ দিকে পারিবারিকভাবে কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিম চৌকিদারে ছেলে মারফত আলীর সঙ্গে পান্না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মারফত আলীকে যৌতুক হিসেবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। কিছু দিন না যেতেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও ১ লাখ টাকার জন্য পান্নাকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বাবার কাছ থেকে আর টাকা আনা সম্ভব না বলে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে শুরু হয় নির্যাতন। গতকাল দুপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালায়। ঘটনার পর স্বামী মারফত আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

  নিহতের বাবা আবু বাক্কার জানান, দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। কটিয়াদী থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।