অর্থ-বাণিজ্য
এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এলো ২৭৫ কোটি ডলার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৭:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫২ অপরাহ্ন

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৭১ কোটি ডলার বা ৩৪.৬৪ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৮.৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত এপ্রিল মাসের এ রেমিট্যান্স একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এখনও পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চ মাসে। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার এসেছে গত ডিসেম্বর মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার। এই হিসেবে দশ মাসে বেশি এসেছে ৫৪২ কোটি ডলার, যা ২৮.৩৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার। এর মানে আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের তুলনায়ও ১০ মাসেই বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি রয়েছে। টানা ২০ মাস পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবার ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ উঠেছে ২২.০৪ বিলিয়ন ডলারে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩.২৫ বিলিয়ন ডলার। পরের মাসে কমে ২১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এর পর আর ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেনি। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল ২০২২ সালের আগস্টে। সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে কমতে সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে এখন ডলার নিয়ে হাহাকার নেই। বিগত সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ ১২৭ টাকায় উঠে যাওয়া ডলার অনেকদিন ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
পাঠকের মতামত
ক্ষমতা হারানোর ব্যথায়, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি, ব্যাংক লুট বন্ধ হওয়ায় তারপর ও বলবে আগে ভাল ছিলাম??
রেমিট্যান্স ভাইজানদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। দেশের জন্য এ এক ইতিহাস। আবারো ধন্যবাদ। রেমিট্যান্স দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য সবাই হাফ ছেরে বেচেছে।