অনলাইন
গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ
সরকার আর ১২৫ বছরও ক্ষমতায় আসতে পারবে না: রেজা কিবরিয়া
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১২ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার, ৭:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, এই সরকার আরো ক্ষমতায় থাকলে সামনের বছরে দেশের মানুষের দুর্ভোগ আরো ১০ গুণ বাড়বে। আমরা এমন একটা পদক্ষেপ নিতে চাই যাতে করে এই দুষ্কৃতিকারী সরকার আর এই দেশে ক্ষমতায় আসতে না পরে। তারা আগে ক্ষমতার বাইরে ছিলো ২৫ বছর। এইবার ১২৫ বছরও তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, মৎস ভবন মোড় হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই সরকার সবখানে ষড়যন্ত্র দেখে। আমরা এই সরকারের পতনের জন্য কাজ করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ বিপদে পরবে।
তিনি বলেন, দেশে একটা সর্বনাশ আসছে। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো হতে আর বেশি দেরি নাই। দেশ যদি সেই অবস্থা হয় তাহলে ওই অবস্থা থেকে ওঠে আসতে আমাদের ১৫-২০ বছর লাগবে। এসব কথা বলছি আমার অভিজ্ঞতা থেকে। আমি আইএমএফে কাজ করেছি। সরকার আইএমএফের ঋণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমি জানি, আইএমএফকে কেউ ভালো অবস্থায় ডাকে না। তাদেরকে ডাকা হয় যখন সব শেষ হয়ে যায়।
ড. কিবরিয়া আরো বলেন, এই সরকার আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরা এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবো না। সরকার যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে এতে কেউই বিশ্বাস করে না। তাদের ৪০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক রিজার্ভ আছে বললো। আর একরাতের মধ্যেই হয়ে তা গেলো ৩১ বিলিয়ন। এখন বলছে রিজার্ভ আছে ২২ বিলিয়ন। কয়েকদিন পর পর তারা নতুন তথ্য দিচ্ছে। সরকার দুই হাজার আলেমকে জেল খানায় রেখে এখনো নির্যাতন করছে। গণাধিকার পরিষদ সব সময় মজলুমদের পক্ষে। আমরা ক্ষমতায় গেলেও মজলুমদের পাশে দাঁড়াবো। আমরা এমন একটি দেশ তৈরী করবো যে দেশ নিয়ে আমরা গর্বিত হবো।
সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আজকে আমরা রাজপথে এসেছি। এই সরকার যদি আমাদের আর মামলা দেয় তাহলে আমরা আইনগত নয়, রাজনৈতিকভাবেই প্রতিরোধ করবো। আমি প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বলবো, এই সরকার মামলার ফাঁদে পরে আদালতের বারান্দায় ঘুরে আর জুতা ক্ষয় করা যাবে না। রাজপথে এই জালিমদের পতন ঘটিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেই আমরা দেশের মানুষের রাষ্ট্র ফিরিয়ে আনবো। আর সেদিনই আমরা আদালতে যাবো তার আগে নয়।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কিভাবে জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার প্রায় ২০টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর জন্য সরকার সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আর এই ঋণের কিস্তি শুরু হবে ২০২৪ সাল থেকে। এখন যদি এই সরকারের পতন হয় তাহলেতো এই ঋণের বোঝা টানতে হবে পরবর্তী সরকারকে। কাজেই এই সরকার জোরাতালি দিয়ে এই দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার যে ফন্দি করেছে তাতে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নুর বলেন, সরকার এখন সংক্রামকে পরিণত হয়েছে। এই সংক্রামকের যদি আপনারা প্রতিষেধক না আবিষ্কার করতে পারেন তাহলে এই দেশ একটা ব্যর্থ এবং অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই সংক্রামকের প্রতিষেধক হচ্ছে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলা। রাজপতের গণআন্দোলন গড়ে তুলেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, আবু হানিফ, ড.মালেক ফরাজী, কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান প্রমুখ।