ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

হার্ট বন্ধ হওয়ার মতো দৃশ্য!

মানবজমিন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
mzamin

রীতিমতো হার্ট বন্ধ হওয়ার মতো দৃশ্য। সামান্যের জন্য রক্ষা  পেয়েছে দর্শনার্থীর মাথা। আর একটু হলে মাথার খুলি আলাদা হয়ে যেতে পারতো। মানুষের দেহ দু’টুকরো হয়ে যেতে পারতো। না, কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় নয়। জেট বিমানের পাখার সঙ্গে লেগে এমন অবস্থা হতে পারতো। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে গ্রিসের শিয়াথোস দ্বীপে অবস্থিত শিয়াথোস আলেক্সান্দ্রোস পাপাডিয়ামান্টিস এয়ারপোর্টে। এই বিমানবন্দরটির রানওয়ে এমনভাবে তৈরি যে, বিমান নামার সময় সমুদ্রের ওপর দিয়ে এসে একেবারে উপকূলে স্থাপিত বেষ্টনী স্পর্শ করতে করতে রানওয়ে স্পর্শ করে বিমান। বেষ্টনীর বাইরে একটি সড়ক। সেখানে নিয়মিতই পর্যটকরা সবচেয়ে নিচে অবতরণরত বিমান দেখতে ভিড় করেন।

বিজ্ঞাপন
তাদের কেউ ভিডিও ধারণ করেন। কেউ একেবারে ছুঁয়ে দেয়ার মতো দূরত্বে বিমান দেখে উল্লাস করেন। সম্প্রতি উইজ এয়ারের যাত্রীবাহী একটি জেট বিমান এমন পর্যটকদের মাথা ছুঁতে ছুঁতে রানওয়ে স্পর্শ করে। সে ঘটনার ভিডিও দেখলে আপনিও থতমত খেয়ে যাবেন। ভিডিওতে দেখা যায় উইজ এয়ারের বিমানটি ওই রানওয়েতে এগিয়ে আসছে। বিমানটি যতই কাছাকাছি আসতে থাকে, ততই তা রানওয়ের খুব নিকটবর্তী হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু পর্যটক। তাদের মাথা ছুঁয়ে বিমানটি ধুলো উড়িয়ে যায়। কয়েকজনের মাথার হ্যাট উড়িয়ে নেয়। বেশ কয়েকজনকে পেছনে ছিটকে ফেলে। তারপর রানওয়ে স্পর্শ করে। 
শিয়াথোস আলেক্সান্দ্রোস পাপাডিয়ামান্টিস এয়ারপোর্টটির রানওয়ে সমুদ্র থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে। থ্রিল অনুভব করেন এমন পর্যটকদের জন্য এখানে বিমানের নাটকীয় অবতরণ দেখা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের শান্ত জলরাশির কিছুটা উপর দিয়ে গর্জন করতে করতে ছুটে আসে উইজ এয়ার পরিচালিত এয়ারবাস এ৩২১ নিও। পাইলট ক্রমশ বিমানটিকে নিচু করছিলেন। এত নিচে বিমান নামতে দেখে পর্যটকদের কয়েকজন ভয়ে সরে যান সামনে থেকে। অন্যরা ইঞ্জিনের গর্জনে বিস্ময় প্রকাশ করে চিৎকার করতে থাকেন। বিমানটি একজন মধ্যবয়সী পুরুষের চুল ছুঁয়ে যায়। তারপর পাইলট

বিমানটিকে টারমার্ক স্পর্শ করাতে সক্ষম হন।  কেন বিমানকে এত নিচে নেমে আসতে হয়েছিল সে বিষয়ে ৫ই আগস্ট গ্রেটফ্লাইয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। তাতে বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক একজন ব্যক্তি ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং রানওয়ে অনেক সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে, বিমানকে অল্প বা ছোট রানওয়েতে অবতরণ করাতে এতটা নিচে নেমে আসতে হয়। এক্ষেত্রে দীর্ঘ রানওয়েতে অতি তাপমাত্রায় বিমানের চাকা ফেটে যেতে পারে। তাই বলে পর্যটকদের এমন সাহস দেখানো উচিত নয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেখানে। এই বিমানবন্দরটির রানওয়ে শিয়াথোস দ্বীপের উত্তর-পূর্বদিকে। দুটি পাহাড়ের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে তা। ফলে রানওয়ের দৈর্ঘ্য একেবারে সংক্ষিপ্ত। এ জন্য পাইলটকে একেবারে নিচে নামিয়ে আনতে হয় বিমান অবতরণের জন্য। এর ফলে সুবিধা আছে। প্রথমত, বিমান উড্ডয়নে তেল খরচ হয় কম। এখানেই ২০১৮ সালে আহত হয়েছিল বৃটিশ একটি স্কুলবালক। তাকে এয়ারবাস ৩২০-এর টারবাইনের বাতাস উড়িয়ে নিয়েছিল।  ১২ বছর বয়সী ওই বালকটি তার পিতার সঙ্গে বিমান দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু বিমানের বাতাস তাকে ৩০ ফুট দূরে উড়িয়ে নিয়ে বালুতে ফেলে দেয়।

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মোবাইল হ্যান্ডসেট/ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ এখন সংকটে

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status