বিশ্বজমিন
ভূমধ্যসাগরে আবারও অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠালো তুরস্ক
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৩ অপরাহ্ন
ভূমধ্যসাগরে আবারও একটি তেল অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠাচ্ছে তুরস্ক। এই জাহাজ সাইপ্রাসের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে নানা পরীক্ষা চালাবে। এর নাম দেয়া হয়েছে আব্দুলহামিদ হান। এটাই সমুদ্রতলে তেল ও গ্যাসের খোঁজ করার জন্য তুরস্কের সবচেয়ে বড় জাহাজ। এ নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান বলেন, এই জাহাজ পাঠাতে তাদের কোনো দেশের অনুমতির দরকার নেই। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে গাজিপাসা সৈকত থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি তেল ও গ্যাসের খোঁজ করবে। তুরস্কের অন্য জাহাজগুলি কৃষ্ণসাগরে তেল ও গ্যাসের খোঁজ চালাচ্ছে। তারা সেখানে একটি গ্যাসের ভাণ্ডার পেয়েছে।
ডয়চে ভেলের খবরে জানানো হয়, তুরস্ক তাদের প্রয়োজনের তেল ও গ্যাসের প্রায় পুরোটাই আমদানি করে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। তাই এরদোগানও তেল অনুসন্ধানের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, তুরস্ক যেখানে জাহাজ পাঠাচ্ছে, তা বিতর্কিত এলাকা নয়। তাই এই জাহাজটি যতক্ষণ তেল ও গ্যাস খুঁজে না পাচ্ছে, ততদিন ড্রিলিংয়ের কাজ চালিয়ে যাবে। তেল ও গ্যাসের সন্ধান চালানো তাদের সার্বভৌম অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেজন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার প্রশ্নই নেই। তাদের এই ড্রিলিং চালানো থেকে কেউ রুখতে পারবে না। কিন্তু সাইপ্রাস এই দাবি মানতে চাইছে না। তাদের দাবি, যে জায়গায় জাহাজ পাঠানো হচ্ছে তা বিতর্কিত এলাকা।
তুরস্ক সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। জোটটির আরেক সদস্য গ্রিসও দাবি করেছে যে, তুরস্ক যেখানে তেল ও গ্যাস খুঁজছে সেটি বিতর্কিত এলাকা। তারা কথা না বলে, সেখানে এই অনুসন্ধান চালাতে পারে না। এর আগে ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে গ্রিসের বিরোধ চরমে উঠেছিল। পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়৷ তেল কিংবা গ্যাসের মতো মূল্যবান কোনো সম্পদ নিয়ে নয়, বরং সমুদ্র সীমান্ত নিয়েই দুই দেশের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব৷
১৯৯৬ সালে ইমিয়ার একটি ছোট জনবসতিহীন দ্বীপ নিয়ে দুই পক্ষ বিবাদে জড়ায়৷ একটুর জন্য তা যুদ্ধ অবধি গড়ায়নি৷ ২০২০ সালে ফের একটি ভূখণ্ড নিয়ে মারাত্মক বিবাদ শুরু হয়৷ ফলে আবারও তুরস্কের জাহাজ পাঠানোর পর নতুন উত্তেজনা শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।