বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম বেগবান করতে ও গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি অনেকদিন পূর্বে নির্মাণ হওয়ার পরে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামোগুলো খুবই খারাপ অবস্থা ও ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা শহরের গণপরিবহনকে যাতে শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়, সেজন্য আমরা এই কাজটি হাতে নিয়েছি। আগামী মার্চের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে। গতকাল সকালে সায়েদাবাদে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের চলমান সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান তিনি। তাপস বলেন, আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে শুরু করেছি। আমাদের একটি যাত্রাপথ শুরু হয়েছে। আরও তিনটি যাত্রাপথ ইনশাআল্লাহ আগামী ১লা সেপ্টেম্বর আমরা উদ্বোধন করবো। সে সকল কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য নিজ অর্থায়নে আমরা আমাদের সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও সিটি বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ আরম্ভ করেছি।
প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আমরা এ কার্যক্রম নিয়েছি। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে অত্যন্ত কার্যকর, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় টার্মিনাল হিসেবে পরিচালিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, শৌচাগার করা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করে সেবা নিতে পারেন, সে রকম করে আমরা এই পুরো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এ সময় বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় দক্ষিণ সিটি কর্তৃক ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ সম্পর্কে বর্ণনা করে মেয়র বলেন, আমরা ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি। এরমধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এরমধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। মেয়র বলেন, কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা নতুন করে এটা কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি। এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মশিউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।