দেশ বিদেশ
সামিয়া রহমানকে ‘পাওনা’ পরিশোধের জন্য ঢাবির চিঠি
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবারঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করে সম্প্রতি নিজের পক্ষে রায় পাওয়া ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে তার কাছে ‘পাওনা’ ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এই চিঠি গত ৩রা আগস্ট পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, হিসাব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পাবে। সিন্ডিকেটের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই টাকার মধ্যে মূল বেতন বাবদ ৬ লাখ ৭ হাজার ৫৭৪ টাকা, বাড়ি ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, গবেষণা ভাতা বাবদ ৪২ হাজার ৬৬৭ টাকা, অফ ক্যাম্পাস ভাতা বাবদ ৮ হাজার ৫৩৩ টাকা, বৈশাখী ভাতা ১৪ হাজার ২৪০ টাকা, উৎসব ভাতা ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা, মোবাইল ফোন ভাতা ৯ হাজার ৬০ টাকা।
সামিয়া রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২১৬ টাকা জমা আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
বর্তমানে সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এই ঢাবি শিক্ষিকা ইমেইলে মানবজমিনকে এই চিঠির ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের নতুন একটি অংশ মাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালের ১৫ই নভেম্বর থেকে এ বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আমার ছুটি মঞ্জুর করে। ফেব্রুয়ারিতে ফের একবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার অনুমোদন দেয়নি। এরপর মার্চে আমি আগাম অবসরের জন্য আবেদন করলে, সিন্ডিকেট তা মঞ্জুর করে। আর এখন যখন হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে, ঠিক তখনই তারা আমাকে এই চিঠি পাঠালো। আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো টাকা পায় না, বরং অর্জিত ছুটিতে থাকায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে টাকা পাই।
এরআগে পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৮শে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এ শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এরপর গত বছরের ৩১শে আগস্ট পদাবনতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান।