রাজনীতি থেকে বিএনপি’র বিদায় নেয়ার সময় এসেছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপি’র রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। গতকাল গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা-অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেয়া হয়। ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেয়ার সময় এসেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিয়েছিল। তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য বিএনপি’র রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থিই নয়, গণতন্ত্রের নীতিবহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস হলো এদেশের জনগণ এবং ক্ষমতা দেয়ার মালিক মহান আল্লাহ্‌।

বিএনপি’র মতো জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখের কথায় জনগণ কখনো আস্থা রাখেনি। 

বিগত ১৪ বছর লাগাতারভাবে বিএনপি নেতারা  এ ধরনের কথা এবং আন্দোলনের হাঁক-ডাক দিয়েই চলেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বিএনপি’র ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ ভুলে যায়নি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশবাসীকে কী ধরনের দুঃশাসন ও অপশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক অধিকার থেকে না কি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপি’র চিরাচরিত অভ্যাস। তিনি বলেন, মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। আবারো তারা দেশকে অরাজকতায় ডুবিয়ে দিতে চায়। কিন্তু জনগণ বর্ণচোরা বিএনপিকে চেনে। সুতরাং সে সুযোগ জনগণ আর তাদের দেবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। 

কারণ, গত চার দশক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সকল সংকট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে এবং এদেশের জনগণের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সংকট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, ভরসা ও বিশ্বাস। ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ অভিঘাতের মধ্যেই  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকট দেখা দিয়েছে এবং আমাদের জনজীবনেও তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঢেউ লেগেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে ধৈর্য ও দায়িত্বশীল আচরণ করলে অতীতের ন্যায় শেখ হাসিনার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। জয় আমাদের হবেই।