বিশ্বজমিন
ক্রাইমিয়ার স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই শেষ হবে যুদ্ধ: জেলেনস্কি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১০ আগস্ট ২০২২, বুধবার, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৪ অপরাহ্ন
ক্রাইমিয়া দিয়েই ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে, এর স্বাধীনতা দিয়েই যুদ্ধ শেষ হবে। এক রাত্রিকালীন ভিডিও বার্তায় এমন ঘোষণাই দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রাইমিয়াতে অবস্থিত এক রুশ বিমান ঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। তবে ইউক্রেন এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে তারা জড়িত নয়। রাশিয়াও জানিয়েছে, সেখানে কোনো হামলা হয়নি। খবর বিবিসির।
বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের অংশ এবং দেশটি কখনো এটি দখলে হাল ছেড়ে দেবে না। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের এ অংশটিকে নিজের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রাইমিয়াকে ইউক্রেনের অংশই মনে করে। যদিও এক গণভোটের মাধ্যমেই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ক্রাইমিয়া। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই গণভোটের স্বীকৃতি দেয় না।
ক্রাইমিয়া নিয়ে রাশিয়া বরাবরই খুব স্পর্শকাতর। এটিকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবে দেশটি। রুশ পর্যটকদেরও পছন্দের জায়গা ক্রাইমিয়া। গত মাসেই রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যদি ক্রাইমিয়াকে টার্গেট করে তাহলে সাথে সাথে কেয়ামত শুরু হবে। তাই গতকালের বিস্ফোরণের পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক স্পষ্ট করেন যে, এই বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেন দায়ী নয়। যেই ঘাঁটিতে সম্প্রতি হামলা হলো সেটি সেভাস্তপোল বন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে । এটি রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরে থাকা জাহাজের অবস্থানস্থল। এখান থেকেই রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো ইউক্রেনের উপকূল অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত ক্রাইমিয়ার বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়া ইউক্রেনকে দায়ী করে তাহলে সেটি হবে এ যুদ্ধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ইউক্রেন এখনও ক্রাইমিয়াতে হামলা করার চেষ্টা করেনি।
জেলেনস্কিও তার ভাষণে ক্রাইমিয়ায় হামলার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, আমরা কখনো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের কথা ভুলে যাব না। এটি শুরু হয়েছিল ক্রাইমিয়া দখলের মধ্য দিয়ে। যদিও এর আগে ক্রাইমিয়ার বিষয়ে ছাড় দেয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এর আগে তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ২৪শে ফেব্রুয়ারির পূর্বেকার অবস্থায় চলে যায় তাহলে তারা শান্তিচুক্তি করতে রাজি। এর অর্থ হচ্ছে, ক্রাইমিয়াকে ফেরত না নিয়েই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। তবে এবার সেই অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে।